আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায়ই বাংলাদেশে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি মার্কা তত্ত্বাবধায়ক ও নির্বাচনকালীন সরকার চাই না। এদেশের সাধারণ জনগণও চায় না।
মঙ্গলবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনের রাস্তার একপাশে দুটি ট্রাকের উপর খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কেন্দ্রীয় নেতারাও একই মঞ্চে অবস্থান করেছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের এক দফা, তা হলো বাংলাদেশের সংবিধান। আমরা নির্বাচনেও শান্তি চাই, নিবাচনের পরেও শান্তি চাই।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, পদযাত্রা ভুয়া। তাদের জোটও ভুয়া, তাদের স্বপ্ন- সবই ভুয়া। এসব ভুয়া কার্যক্রমেই তাদের পতন অনিবার্য।
শান্তি সমাবেশ শুরুর আগে থেকেই ব্যানার-ফেস্টুন, জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা হাতে হাতে এবং ট্রাক বোঝাই করে ঢাকঢোল বাজিয়ে সমাবেশে যোগ দেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সমাবেশ শেষে তার নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করবেন কেন্দ্রীয় পর্যায়ের এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। শোভাযাত্রাটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হবে।
সমাবেশে সভাপত্বি করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।
শান্তি সমাবেশে উপস্থিত আছেন- আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তাফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক দফতর সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সদস্য আবদুল আউয়াল শামীম, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভপতি অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন রুহুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ।