দর্শককে বিনোদিত করার ভাবনা নিয়ে কাজ করেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। ফলে যখনই তার নতুন নাটক আসে তখনই দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ে দেখার জন্য। ব্যতিক্রম হয়নি এবারের ঈদেও। ‘কিডনি’ ও ‘ফিমেল ৩’ নামের দুটি নাটক দিয়ে ইউটিউবে নিজের আধিপত্য বজায় রাখলেন এই নির্মাতা। দুটি নাটক রয়েছে ট্রেন্ডিংয়ের প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে।
এর মধ্যে ‘ফিমেল ৩’ মাত্র চার দিনেই ১২ মিলিয়নের বেশি ভিউ পেয়েছে। আর ‘কিডনি’র ভিউ ছয় দিনে ১০ মিলিয়ন। এর আগে দেশের সবচেয়ে দ্রুততম কোটির ক্লাবে প্রবেশ করা নাটক ছিল অমির নির্মিত ‘ব্যাচেলরস কোরবানি’ (৪ দিনে)। সেই রেকর্ড ভেঙে ‘ফিমেল ৩’ মাত্র তিন দিনেই ১ কোটি ভিউ ছাড়িয়ে গেছে।
এমন অবিশ্বাস্য দর্শকপ্রিয়তার পেছনে রহস্য কী? কাজল আরেফিন অমির জবাব, আসলে এটার কোনো রহস্য নেই। আমরা কষ্ট করে কাজ করি। সে কারণেই হয়ত দর্শক পছন্দ করে আর আমরা এ ধরনের রেসপন্স পাই। রেজাল্ট কী হবে, সেটা ভেবে কখনো কাজ করিনি। ব্যক্তিগতভাবে আমি চেষ্টা করি, আগের কাজটির চেয়ে ভালো কিছু করতে। সেখান থেকেই চেষ্টা ছিল ‘ফিমেল’র প্রথম দুটি নাটকের চেয়ে ভালো কিছু করার। সেই হিসেবে পরিশ্রম দিয়েছি, আমার আর্টিস্ট, টিম, সম্পাদনা, অ্যাকশন, মিউজিক প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে একটু হলেও ভালো করার চেষ্টা করেছি। এই পরিশ্রমেরই ফল হয়ত এটা।
অমির পরিচালিত নাটক বরাবরই ভাইরাল হয়, ট্রেন্ডিংয়ে থাকে। এই বিষয়টি মাথায় নিয়ে কনটেন্ট নির্মাণ করেন কিনা জানতে চাইলে অমি বলেন, দর্শক গ্রহণ করবে কিনা, সেটার এক ধরনের অনুমান তো থাকে। কিন্তু ট্রেন্ডিংয়ে আসবেই, এই কনফিডেন্স পাই না। কারণ কিছু কাজ আছে, যেগুলো আমার অনেক ভালো লেগেছে, কিন্তু দর্শকপ্রিয়তা তুলনামূলক কম পেয়েছে। কোন দৃশ্যে মানুষ মজা পাবে, কোথায় হাসবে, কোন দৃশ্যে ইমোশনাল হবে; এসব স্টাডি অবশ্যই থাকে। কিন্তু ট্রেন্ডিংয়ে যাবে কিনা, সেটা মাথায় নিয়ে কখনো কাজ করি না।
সাফল্য তো নিয়মিত আসছে। তবু কিছু ‘কিন্তু’ তো থেকে যায়। সেই ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ থেকে এখনকার ‘কিডনি’; অমির সব নাটকে ঘুরেফিরে প্রায় একই মুখ। তবে কি নিজেকে একটা ছকের মধ্যে আটকে রাখতে চাইছেন অমি? তার স্পষ্ট জবাব, ‘না। আমার যখন যেই গল্পটা বলতে ইচ্ছা করে, সেই গল্পের যেই চরিত্রের জন্য যাকে পারফেক্ট মনে হয়, তাকেই কাস্ট করি। এই চেষ্টা আমার শুরু থেকেই ছিল। এখনো আমি যেই ধরনের গল্প করি, চেষ্টা থাকে পারফেক্ট শিল্পীকে নেওয়ার। এবং সন্তুষ্টির ব্যাপার হলো, আমি যখন যাকে নিয়েই কাজ করতে চেয়েছি, তাকেই পেয়েছি।
বলা দরকার, অমির নাটকে সবসময় যাদের দেখা যায়, তারা হলেন- মারজুক রাসেল, মিশু সাব্বির, জিয়াউল হক পলাশ, শরাফ আহমেদ জীবন, শিমুল শর্মা, চাষী আলম, সাইদুর রহমান পাভেল, সুমন পাটোয়ারি, মুসাফির সৈয়দ বাচ্চু, লামিমা লাম প্রমুখ। এই ঈদের ‘কিডনি’ ও ‘ফিমেল ৩’-এও তারা অভিনয় করেছেন।