কমলা না ট্রাম্প, কার পক্ষ নেবে ভারত

কমলা না ট্রাম্প, কার পক্ষ নেবে ভারত

আন্তর্জাতিক

নভেম্বর ৪, ২০২৪ ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে কম নয়। ৫২ লাখের বেশি তারা; মেক্সিকো বংশোদ্ভূত মার্কিনির পরই তারাই সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী ঐতিহ্যগতভাবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভোটারদের ভোট পান। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আবার ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম যেসব বিশ্বনেতা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন তার মধ্যে মোদি ছিলেন অন্যতম।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক থিংক ট্যাংক চ্যাথাম হাউজের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র রিসার্স ফেলো চেইতিগি বাজপায়ী বলেন, এবার নির্বাচনে একজন প্রার্থীর চেয়ে অন্যজনের প্রতি মোদির শক্তিশালী কোনো পছন্দ আছে বলে মনে করি না। ভারতের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক গভীর করার ক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রায় দ্বিপক্ষীয় ঐক্যমত আছে। ভারতকে তারা দীর্ঘমেয়াদে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখে। এই ঐকমতের কারণ হতে পারে চীনকে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত প্রতিপক্ষ বলে মনে করে। বাজপেয়ী এ বিষয়ে একটি আর্টিক্যাল লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি মূল ভিত্তির ওপর যুক্ত রয়েছে। তা হলো- ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র, চীনবিরোধী একটি রক্ষাকবচ হিসেবে ভারতকে দেখছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের সম্ভাবনাময় অর্থনীতি।

বাজপেয়ী বলেন, প্রথম মেয়াদে যখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ছিলেন তখন তিনি মোদির সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অন্যদিকে কমালা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি বর্তমান বাইডেন প্রশাসনকে অব্যাহত রাখবেন। এখানে উল্লেখ্য, বাইডেনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সম্পর্ক গভীর হয়েছে প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক খাতে। আনুষ্ঠানিকভাবে সামরিক মিত্র না হওয়া এবং ভারত রাশিয়ার সামরিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হওয়া সত্ত্বেও ভারতকে ‘মেজর ডিফেন্স পার্টনার’ বানিয়েছেন বাইডেন। ২০২২ সালের মে মাসে টোকিওতে কোয়াড সামিট বসে। এর এক ফাঁকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র ‘ইনিশিয়েটিভ ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড এমার্জিং টেকনোলজিস ঘোষণা দেয়। এর উদ্দেশ্য কৃত্রিম বুদ্ধিমতা বা এআই সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। কোয়ান্টাম কমিউটিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত সহায়তা বৃদ্ধি করা। অন্যদিকে মোদিকে ‘ফ্যান্টাস্টিক’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে ভারতকে তিনি আমদানি শুল্কের অপব্যবহারকারী হিসেবে অভিহিত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *