শেরপুর বাজিতখিলা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র, ক্ষুব্ধ ইউনিয়নবাসী

দেশজুড়ে

সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪ ১২:২৪ অপরাহ্ণ

শেরপুর প্রতিনিধি।।

শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ৩নং বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররমের বিরুদ্ধে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে না পেরে ওই পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে আরো দুই একজন সদস্য মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগসহ নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়ন পরিষদের বিগত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মোঃ আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররম তৎকালীন সরকার দলীয় নৌকা প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোট পেয়ে ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বর্তমান ওই পরিষদে ২ বছর ৮ মাস চলমান দায়িত্ব পালনকালে স্বচ্ছভাবে বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ৪০ দিনের কর্মসৃজন যথা নিয়ম অনুসরণ করে উপকারভোগীদের মাঝে বিতরণ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও টিআরও কাবিটা প্রকল্পর সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের প্রকল্প সভাপতি করে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররম সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা এবং দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় ওই ইউনিয়নের জনগণের কোন অভিযোগ না থাকলেও বাধ সাধেন ওই ইউনিয়নের সাবেক ও মরহুম চেয়ারম্যান আমীর আলী সরকারের পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং পরবর্তী ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল হালিম। তিনি গত ১৫ বছরে অসুস্থ্য চেয়ারম্যান আমির আলীর অনুপস্থিতিতে চেয়ারম্যান হয়ে এবং পূর্বে প্যানেল চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় বিপুল টাকার অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে তাতালপুর গ্রামসহ বাজিতখিলা ইউনিয়নের অনেকেই এমন মন্তব্য করতে শোনা যাচ্ছে। তিনি সম্প্রতি বর্তমান পরিষদের ইউপি সদস্যর বিভিন্ন প্রলোভন ফেলে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। পরবর্তী ওই অভিযোগকারী বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্য চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ গুলো প্রত্যাহার করে নিলেও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইউপি সদস্য আব্দুল হালিমসহ তার আরো দুই একজন সহযোগি ও ইউপি সদস্য ওই অভিযোগ প্রত্যাহার না করে চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররমের বিরুদ্ধে একের পর এক নানা ষড়যন্ত্রের লিপ্ত রয়েছেন বলে পরিষদের অনেকের এমনটাই অভিযোগ।

এদিকে ওই অভিযোগকারীরা পরিষদ কর্তৃক বিভিন্ন লাইসেন্স প্রদানের মধ্যে ব্যাটারী চালিত অটোবাইক লাইসেন্স ৩২ লাখ টাকা বলে দাবি করেন। কিন্তু আসলে ১২ লাখ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ২০২২-২০২৩ ও ২০২৪ অর্থ বছরে আয় করেছে ইউনিয়ন পরিষদ এবং যথা সময়ে ব্যাংকে সরকারি খাতে যা ইউনিয়ন পরিষদ ফান্ডে জমা দেয়া হয়। এছাড়াও বাজিতখিলা বাজারের পুরাতন ইউপি ভবনে মার্কেটে পূর্বের ১০ দোকানীদের এবং পরে নতুন ১২ দোকানীকে বিধি মোতাবেক পুনর্বাসনের মাধ্যমে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের অভিযোগ করা হয় কিন্তু সেখানে পরিষদের ইউপি সদস্যরাই সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাবিটা সহ অন্যান্য প্রকল্পর সভাপতি হয়ে তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকেন এবং সেখানে চেয়ারম্যানের কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে।
সচেতন ইউনিয়নবাসী সূত্র জানিয়েছে, চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাসান খুররম সুষ্ঠুভাবে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। কতিপয় ইউপি সদস্য তাদের অবৈধভাবে স্বার্থ আদায় করতে না পেরে এবং হীনস্বার্থ চরিতার্থ করতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলে তারা জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *