আপনি মুখের ব্রণ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন। যত্ন আর অবহেলায় মুখে ব্রণ উঠেছে। এদিক-সেদিক গজিয়ে ওঠা ব্রণ এবার দূর করে ফেলুন আয়ুর্বেদিক টোটকায়।
হরমোনের তারতম্য, ধুলাবালি দূষণ, অনিয়মিত লাইফস্টাইল এবং ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণেই মুখের যেখানে-সেখানে গজিয়ে ওঠে ব্রণ। আর ব্রণের ভিড়ে ঢাকা পড়ে ত্বকের জেল্লা। তাই দ্রুত এর থেকে রেহাই পেতে এদিক-সেদিক সমাধান হাতড়ে না বেড়ানই ভালো।
ভরসা রাখুন আয়র্বেদে। যুগ যুগ ধরে ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় নানা আয়ুর্বেদিক টোটকা ব্যবহার হয়ে আসছে। আর ব্রণকে সায়েস্তা করতে ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরি ফেসপ্যাকেই ভরসা রাখুন। নিমেষে মিলিয়ে যাবে ব্রণ। সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
হলুদ পেস্টের ক্রিম। হলুদে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল। এর গুণেই ব্রণ থেকে রেহাই মিলবে দ্রুত। এর জন্য পানি বা মধুর সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে মাখুন। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিলেই চমকাবে ত্বক।
মুখের ব্রণে নিমপাতাও কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিমপাতার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বিষয়ে সবাই জানেন। তাহলে এ দিয়েই দূর করুন ত্বকের ব্রণ। কয়েকটি নিমপাতা বেটে ব্রণে লাগিয়ে দিন। এর ছোঁয়াতেই অ্যাকনে সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।
আপনিচাই অ্যালোভেরা দিয়েও ব্রণ দূর করতে পারেন। বাড়িতে থাকা অ্যালোভেরা গাছের থেকে রস বের করে ত্বকে লাগান। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি ধর্ম ব্রণের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্যকরে। এর ছোঁয়ায় মিলিয়ে যাবে অ্যাকনের দাগও।
চন্দনের পেস্ট দিয়েই হবে বাজিমাত। ব্রণ কমাতে সিদ্ধহস্ত চন্দনও। তাই পারি দিয়ে চন্দনের পেস্ট বানিয়ে ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন। তাতেই ব্রণ থেকে রেহাই মিলবে। ত্বকও হবে ঝলমলে।
এ ছাড়া ত্রিফলাও ব্রণ মুছতে ভালো কাজে লাগে। আমলকী, বিভিতকি ও হরিতকি নিয়ে তৈরি হয় ত্রিফলা। এর পাউডার জলের সঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর ব্রণতে লাগান। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্ম ত্বকে ব্রণ-র দাপট কমাবে।