সোহেল রায়হান,নেছারাবাদ, পিরোজপুর।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নেছারাবাদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আনারস প্রতিকের আলহাজ্ব আব্দুল হক।নির্বাচনের দিন যতো ঘনিয়ে আসছে আব্দুল হক সাহেবের জনপ্রিয়তা ও গণমানুষের ভালবাসা ততোই বাড়ছে।জনপ্রিয় এই প্রার্থী বিগত দিনেও উপজেলা চেয়ারম্যানের দ্বায়িত্বে ছিলেন।মূলত তিনি এই নেছারাবাদে একজন ভাল সৎ সরল মানুষ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং বর্তমান এমপি মহোদয়ও তাকে খুব শ্রদ্ধা করেন ও ভাল সৎ সরল মানুষ হিসেবে পছন্দ করেন।তাই এবারের নির্বাচনে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।তার প্রমান স্বরূপ ১০ মে থেকে প্রত্যেকদিন এক এক ইউনিয়নে যে উঠান বৈঠকের নামে সভা/সমাবেশ করা হয়েছে প্রত্যেক বৈঠকে হাজার হাজার মানুষের সমর্থন/সমাগম দেখে মনে হয়েছে আনারস প্রতিকের আলহাজ্ব আব্দুল হক এর জনপ্রিয়তা খুবই ভাল।এ যাবৎ প্রত্যেকটা উঠান বৈঠক জনসমুদ্রে পরিনত হয়েছে।তবে স্বঙ্কা থেকেই যায় এই সভা সমাবেশের মতো সবাই কি ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে ? যদি সবাই ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যায় তবে আনারসের নেতাকর্মী সমর্থক ও প্রার্থীর আশা আনারসের জয় সুনিশ্চিত।এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ মে বুধবার নেছারাবাদের সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের সুটিয়াকাঠি বয়েজ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এবং গত ১৬ ই মে বৃহস্পতিবার নেছারাবাদের বলদিয়া ইউনিয়নের পঞ্চবেকী বালুর মাঠে বিশাল উঠান বৈঠকের আয়োজন সম্পন্ন হয় সভাস্থল জনসমুদ্রে পরিনত হয়।এই নেছারাবাদে আনারসের আলহাজ্ব আব্দুল হক এর বিপরীতে আরো যে দুইজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রয়েছেন তারা হলেন মোঃ মুইদুল ইসলাম মুহিদ(মোটরসাইকেল) ও রনি দত্ত (দোয়াত কলম) তবে মাঠ গরম করে রেখেছেন এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আনারস ও মোটরসাইকেল।
উল্লেখ্য- এবারই প্রথম নেছারাবাদে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।তাই এই এলাকার অনেকে(বেশির ভাগ মুরব্বি/বয়স্ক লোক) ভোট দিতে অনিহা প্রকাশ করছে এবং ইভিএম পদ্ধতির প্রযুক্তির ব্যাবহারে অনভিজ্ঞতার কারনে অনেকে ভয় পাচ্ছে।এবার দেখার বিষয় গনপ্রজাতন্ত্রি বাংলাদেশ সরকার ভোটের ব্যাপারে এবং সাহস ও সচেতনতা বাড়াতে কি ভূমিকা পালন করে।