সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। নাবিকদের কাছে পেয়ে স্বজনদের মাঝে বইছে খুশির বন্যা।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তাদের বহনকারী লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাহান মণি-৩ চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি কনটেইনার টার্মিনালে নোঙর করে।
এর আগে, বেলা ১২টার দিকে নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর শেষে জাহাজটিতে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দর জেটির উদ্দেশ্যে রওনা হন তারা।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটের দিকে কুতুবদিয়ায় বঙ্গোপসাগরে নোঙর করে এমভি আবদুল্লাহ। একইদিন লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাহান মণি-৩ নতুন ২৩ নাবিক দল নিয়ে কুতুবদিয়ার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছাড়ে।
মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। এরপর তারা জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায়। ৩১ দিন জিম্মি থাকার পর ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজ থেকে বোটে নেমে যায়।
মুক্তির পর জাহাজটি দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। ২১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে জাহাজটি। জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরবর্তীতে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনা পাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।