‘সুন্নি ইত্তিহাদের সঙ্গে জোট করে আত্মহত্যা করেছে পিটিআই’

আন্তর্জাতিক

জুন ২৫, ২০২৪ ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) কাজি ফায়েজ ইসা সোমবার প্রশ্ন তুলেছেন, কেনো ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সুন্নি ইত্তিহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সঙ্গে জোট করল?

জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত আসন পাবে না এসআইসি। পেশোয়ার হাইকোর্টের (পিএইচসি) এমন রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেছে এসআইসি। সেই আপিলের শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি এ মন্তব্য করেছেন।

ওই বেঞ্চে ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মনসুর আলী শাহ, বিচারপতি মুনিব আখতার, বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদি, বিচারপতি আমিনউদ্দিন খান, বিচারপতি জামাল খান মান্দোখাইল, বিচারপতি মোহাম্মদ আলী মাজহার, বিচারপতি আয়েশা এ মালিক, বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ, বিচারপতি সৈয়দ হাসান আজহার রিজভি, বিচারপতি শহীদ ওয়াহিদ, বিচারপতি ইরফান সাদাত খান এবং বিচারপতি নঈম আখতার আফগান।

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, রাজনৈতিক দল থাকা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কেনো পিটিআই ছাড়লেন? আপনাদের মতাদর্শের বিরুদ্ধে যায় এমন দলে যোগ দিয়ে কেনো ‘আত্মহত্যা’ করলেন?

সিজেপি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীরা যদি পিটিআইয়ের সঙ্গে থাকতেন তাহলে আজ কোনো সমস্যা হতো না।

এ মামলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।

এর আগে এপ্রিলে নারী ও সংখ্যালঘু আসন পেতে পেশোয়ার হাইকোর্টের রায়ে সন্তুষ্ট না হতে পেরে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন এসআইসির প্রধান সাহেবজাদা হামিদ রাজা।

গত ৬ মে বিচারপতি মনসুর আলী শাহের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বিচারপতি মহম্মদ আলি মাজহার ও বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পেশোয়ার হাইকোর্টের রায় স্থগিত করেন। পরে বিষয়টি সাংবিধানিক ব্যাখ্যার প্রয়োজন হওয়ায় বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের জন্য বিচারকদের কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে এক প্রতিবেদনে গত সপ্তাহে ইসিপি শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে, এসআইসি সংরক্ষিত আসনের জন্য যোগ্য নয় কারণ ২৪শে জানুয়ারি সময়সীমার আগে প্রার্থী তালিকা জমা দিতে পারেনি দলটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *