শোকজের ভাষা নিয়ে কুবি রেজিস্ট্রারের সাথে শিক্ষকদের একাংশের ‘উচ্চবাচ্য’

দেশজুড়ে

জুলাই ১২, ২০২৩ ৩:২১ অপরাহ্ণ

কুবি প্রতিনিধি:

শোকজের ভাষা শিক্ষকদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয় দাবি করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী সহ আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরীর সাথে ‘উচ্চবাচ্য’ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রশাসনিক ভবনের রেজিস্ট্রার দপ্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে উপস্থিত হওয়ার সময় তারা ঘটনাটি দেখেন। একই দিনে এর আগেও একবার রেজিস্ট্রারের সাথে উচ্চবাচ্য হয়েছে বলে জানায় বিভিন্ন সূত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র মতে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে রেজিস্ট্রার দপ্তরে আসেন। এ সময় তারা অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র নন্দী, অধ্যাপক তাহের, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. মো. শামিমুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: আমান মাহবুব, সহযোগী অধ্যাপক ড. মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম সহযোগী অধ্যাপক ড. মিহির লাল ভৌমিক সহ আরো অনেককে একসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরীর রুমে ঢুকতে দেখেন। এরপর বাইরে থেকে উচ্চস্বরে কথা বলতে শুনতে পান শিক্ষকদের।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এমন কিছু করেছি কিনা রেজিস্ট্রারকে জিজ্ঞাসা করেন৷ আর কিছু জানতে হলে কাল রুমে দেখা করে জিজ্ঞাসা করবেন।’

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘তেমন কোন বাকবিতণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। মূলত নোটিশে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল তা শিক্ষকদের জন্য ব্যবহারযোগ্য নয় বলে আমি মনে করি। আমরা শুধু চিঠিটি প্রত্যাহার করার কথা বলেছি৷ আর শিক্ষকদের যেভাবে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় সেভাবে দেওয়ার কথা বলেছি।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি আবু তাহের ও তৃতীয় শ্রেণী কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মহসিন বলছেন তারা রুমের ভেতরের হওয়া উচ্চস্বরের কথাবার্তা বাহির থেকে শুনতে পেয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আমিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘তারা রাগান্বিত হয়ে এসেছিলেন। স্বাভাবিকভাবে একটু উঁচু গলাতেই কথাবার্তা বলেছেন। চিল্লাচিল্লি করেছেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *