সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩ ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ
হিজরি বর্ষের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। আরবি মাসগুলোর মধ্যে এ মাসের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে। এ মাসেই সাইয়্যেদুল মুরসালিন, খাতামুন নাবিয়্যিন হজরত মুহাম্মাদ (সা.) পৃথিবীতে আগমন করেন, আবার এ মাসেই রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে নিজ প্রভুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ।
এ মাসটি বেশ কিছু কারণে মর্যাদাপূর্ণ ও তাৎপর্যময়। প্রথম কারণ হলো-এ মাসে পৃথিবীতে আগমন করেন মানবতার মুক্তির দূত নবি করিম (সা.)। দ্বিতীয় কারণ হলো-এ মাসেই আম্মাজান খাদিজাতুল কুবরা (রা.)কে বিয়ে করেন আল্লাহর রাসূল (সা.)।
এ মাসেই মুসলমানদের জন্য প্রথম মসজিদ তৈরি করা হয় কুবা নামক স্থানে এবং এটিই ইসলামের ইতিহাসে নির্মিত প্রথম মসজিদ। এ মাসে আল্লাহর রাসূল (সা.) প্রিয় মাতৃভূমি মক্কা ছেড়ে মদিনায় হিজরত করেন এবং যে দিন তিনি মদিনায়ে পৌঁছান তা ছিল সোমবার ১২ রবিউল আউয়াল। মানবতার মুক্তির দূত, হজরত (সা.)-এর ওপর আরোপিত রিসালাতের দায়িত্ব পালন শেষে দ্বীন-ইসলাম পূর্ণতার মাধ্যমে নিজের প্রভুর আহ্বানে সাড়া দেন তিনি।
কুরআন হাদিসে এ মাসের জন্য নির্দিষ্ট কোনো আমল বা ইবাদত পাওয়া যায় না। তবে কিছু আমল আছে অন্য মাসের মতো এ মাসেও করা যায়। যেমন-প্রতি সোমবারে রোজা রাখা।
সোমবারে রোজা রাখার ব্যাপারে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, হজরত আবু কাতাদা (রা.) বলেন, সোমবারের রোজা সম্পর্কে নবি করিম (সা.)কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, এ দিন আমি জন্মলাভ করেছি এবং এ দিনেই আমি নবুওয়াতপ্রাপ্ত হয়েছি , আমার ওপর কুরআন নাজিল করা হয়েছে (মুসলিম, হাদিস, ১১৬২)।
অন্য হাদিসের এসেছে-আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার, আল্লাহতায়ালার দরবারে আমল পেশ করা হয়। আমার আমলগুলো রোজা অবস্থায় আল্লাহর সামনে পেশ করা হোক এটাই আমি পছন্দ করি (তিরমিজি, হাদিস, ৭৪৭)।