ভারতে ইলিশ উপহার হিসাবে যাচ্ছে না, রপ্তানি করা হবে

ভারতে ইলিশ উপহার হিসাবে যাচ্ছে না, রপ্তানি করা হবে

জাতীয় স্লাইড

সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪ ৭:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ভারতে ইলিশ উপহার হিসাবে যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, এটা রপ্তানি করা হবে, রপ্তানির টাকা বাংলাদেশ সরকার পাবে। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা না।

সোমবার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এখনো যায়নি। শুধু সিদ্ধান্ত হয়েছে। তার আগেইতো দাম বেড়ে গেছে। কাজেই রপ্তানি হলে দাম বাড়বে এ কথাটা ঠিক না। যেটা সরকারের বিবেচনায় আছে।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, যারা ইলিশটা চাচ্ছে, তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ওপার থেকে অনেক সমর্থন দিয়েছে। সেটা আমরা সবাই দেখেছি। সবসময় মনে রাখতে হবে প্রতিবেশীর সঙ্গে অনেক বিষয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা করতে হবে। সেই আলোচনার ধারটা ছোট ছোট বিষয়ে বন্ধ হয়ে যাক, সেটা আমরা চাই না।

এছাড়া নদী থেকে বালু উত্তোলন ‘জাতীয় দস্যুতায়’ পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে রিজওয়ানা বলেন, যেখানেই নদীতে বালু আছে সেখানেই জেলা প্রশাসকরা মানুষের শত আপত্তি সত্তে¡ও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালুমহাল ঘোষণা করে দেয়। বালুমহাল ঘোষণার যেমন সুযোগ আছে তেমনি বিলুপ্তিরও সুযোগ আছে।

তিনি আরও বলেন, বালু উত্তোলনের মাধ্যমে নদীর ড্রেজিং কি বালু ব্যবসায়ীদের কাছে তুলে দেব নাকি সরকারিভাবে ড্রেজিং করা হবে তা আমাদের ভাবার সময় এসেছে।

লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর লাগবে উল্লে­খ করে তিনি বলেন, রেগুলেটর দিনে দিনে তৈরি করা সম্ভব না।  এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা যদি দ্রুতগতিতে রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাই তাও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এখানে যে চর হয়েছে সেখানের বালু সরিয়ে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাবনা দিয়েছে। নদীতে ক্যাপটেল ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঁইয়া, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সি আমীর ফয়সাল, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদসহ জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *