ভারতের পিচে কিভাবে ভালো করতে হয় , উপায় বললেন ডোনাল্ড

খেলা

জানুয়ারি ২১, ২০২৪ ১২:২০ অপরাহ্ণ

 

বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে অ্যালান ডোনাল্ডের এখন অনেক দূরত্ব। দায়িত্ব নিয়েছেন নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের দল ডিপি ওয়ার্ল্ড লায়ন্সের। তাসকিন-শরিফুলদের দায়িত্ব ছাড়ার পর গণমাধ্যমে ক্রমাগত পরিচিত মুখ হয়ে উঠছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি। এবার তিনি ভারতের লো-বাউন্স উইকেটে ভালো করার উপায় বাতলে দিয়েছেন। রোহিত শর্মাদের দেশে ইংল্যান্ডের আসন্ন টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন ডোনাল্ড

আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজ। ভারতীয় কন্ডিশনে উইকেট যে স্বাভাবিকভাবেই স্পিন সহায়ক হবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই রকম পিচে সাধারণত পেসারদের জন্য খুব কম সাহায্য থাকে। তাদের পিচ বাউন্স থাকে খুব লো বা নিচু, এমন অবস্থায় পেসারদের করণীয় জানতে চাওয়া হয় টাইগারদের সাবেক পেস কোচের কাছে। যার সহজ টোটকা হিসেবে ডোনাল্ড বলেন— স্টাম্প টু স্টাম্প অর্থাৎ যত বেশি সম্ভব বল উইকেটের মধ্যে রাখতে হবে, যাতে করে সাফল্য পেতে পারেন বোলাররা।

ইংল্যান্ডের ভারত সফর নিয়ে সাবেক প্রোটিয়া পেসার বলেন, ‘আমাদের মাইন্ডসেট ছিল সবসময়ে আক্রমণাত্মক বোলিং করা। ওই সময় অধিনায়ক ছিল হ্যান্সি ক্রোনিয়ে। ও নিজেও বেশ আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্ব করতো। আমাদের কোচ বব উলমারের ভারতীয় পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালো ধারণা ছিল। কারণ ভারতের পরিবেশে উলমারের খেলার অভিজ্ঞতা আছে। এখানে প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতা ছিল। উলমার ক্রিকেটারদের মানসিক দিকটা খুব ভালোভাবে বুঝতেন। বিশেষ করে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মাইন্ডসেটটা উনি ভালোভাবেই বুঝতেন।’

এরপর ভারতের পিচে ভালো করার অভিজ্ঞতা বলেন ডোনাল্ড, ‘আমরা জানতাম পিচে ভালো ক্যারি থাকবে না। তাই প্রতিটা বল স্টাম্প বরাবর করার চেষ্টা করেছি। যাতে প্রতি বলেই ব্যাটাররা খেলতে বাধ্য হয়। আর এতেই এসেছে সাফল্য। পিচে অল্প বাউন্স থাকার কারণে স্টাম্পের মধ্যে থাকা বল সমস্যায় ফেলেছে ব্যাটারদের। পরে বল যখন পুরনো হয়ে যাবে তখন নেগেটিভ ফিল্ড ব্যবহার করার কোন মানে নেই। তখন সুইপার রাখার কোন দরকার নেই। এই সময়ে কভারে অতিরিক্ত ফিল্ডার রাখা যেতে পারে। ফলে ওই জায়গায় বোলাররা অতিরিক্ত সুরক্ষা পাবে।’

ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ বেশ শক্তিশালী। সেই শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে ফুল লেন্থের বল করার দিকে ইংলিশ পেসারদের নজর দিতে বলেছেন ডোনাল্ড। পাশাপাশি ফিল্ডিং সাজানোর ক্ষেত্রেও আরও বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ডোনাল্ড দুইবার ভারতে সফর করেছেন। ১৯৯৯-২০০০ সালে ভারত সফরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ জিতেছিল ২-০ ব্যবধানে। ওই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন ডোনাল্ড। পাশাপাশি প্রোটিয়াদের পেস আক্রমণে ছিলেন শন পোলক, নান্তে হেওয়ার্ড, জ্যাক ক্যালিসরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *