ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ পরিসংখ্যান সহকারীর বিরুদ্ধে

দেশজুড়ে

জুন ১৫, ২০২৪ ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শোলাবাড়ি গ্রামের মৃত শাহজাহান মিয়ার ছেলে বদিউজ্জামান বাদল ওরফে মোঃ বাদল মিয়া (৪২) এর বিরুদ্ধে সরকারি চাকরি শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার মো: ফয়সাল হোসেন।

দূর্নীতি দমন কমিশন ও জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ে করা অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোঃ বাদল মিয়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের পরিসংখ্যান সহকারী পদে চাকরিতে কর্মরত আছে। বাদল মিয়া রাজনীতি করে পূর্ব থেকেই। সে চাকরি পাওয়ার পরেও পূর্বের ন্যায় রাজনীতিতে সক্রিয় আছে। রাজনীতির সকল অনুষ্ঠানে সে সবসময় উপস্থিত থাকে। যে কোন নির্বাচনে বাদল মিয়া সরাসরি কোন প্রার্থীর পক্ষে নিয়ে নির্বাচনের মাঠে ভোট নিয়ে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে। ভোটারদের কাছে ভোট চায়।

সম্প্রতি বাদল মিয়া পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবে বলে প্রচার করতাছে। সে তার শুভাকাঙ্ক্ষীদেরকে দিয়ে ফেইসবুকে এ বিষয়ে পোস্ট দেওয়াচ্ছেন। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে ঘোষণা করেছেন।

অভিযোগ, বাদল মিয়া চাকরি করে অবৈধভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। বাদল মিয়ার ফেইসবুক আইডি ঘুরলে দেখা যায় সে বর্তমানে রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে জড়িত আছে। নির্বাচনে ভোটারদের কাছে প্রার্থীর জন্য ভোট চাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবে প্রচার করছেন ফেইসবুকে।

সরকারি কর্মচারী ( আচরণ) বিধিমালা – ১৯৭৯ এর ২৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী কর্মকর্তা – কর্মচারীরা কোন রাজনৈতিক দল বা অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে পারবে না। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ বা কোনো ধরনের সহায়তা করতে পারবে না।২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালায় ও সরকারি চাকরিজীবীদের ভোটের প্রার্থীর অংশগ্রহণ বা সহায়তা করার বিষয়ে নিষেধ রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের` গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ `- এর ২০২১ সালের ২৮ জুন জারি করা প্রজ্ঞাপনের(চ) ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি থেকে অবসরের পর তিন বছর পর না হওয়া পর্যন্ত কোনো সরকারি কর্মকর্তা – কর্মচারী কোনো ধরনের নির্বাচন বা রাজনৈতিক দলের সদস্য নির্বাচিত হতে পারবেন না।

এ বিষয়ে, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমন আচরণ চাকরিবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাঁরা জনগণের কাছ থেকে বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন এবং তাঁরা কোনো দলের কর্মী নন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে বাদল মিয়ার সাথে কথা বলে জানতে চাইলে,তিনি বলেন একজনের ব্যাক্তি পছন্দ থাকতেই পারে।অনেক সরকারী কর্মকর্তা কর্মচারীর ফেসবুকেই এমন পোষ্ট দেখতে পাবেন।চেয়ারম্যানের বিষয় হয়তো আমার শুভাকাঙ্খিরা পোষ্ট করেছেন।তবে এমন সিদ্বান্ত নিলে চাকুরী ছেড়েই নেব বলে জানান বাদল মিয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *