বাংলাদেশ সীমান্তে আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষে ২০০ জান্তা সেনা নিহত

জাতীয় স্লাইড

জুন ১৬, ২০২৪ ৯:৪২ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুতে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে সেখানকার স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির। গেল দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে মংডুর আরো ১০টি জান্তা ক্যাম্প দখল করেছে তারা। এ সময় একজন কৌশলগত কমান্ডারসহ প্রায় ২০০ জন জান্তা সেনা নিহত হয়েছেন। খবর- মিয়ানমারের গণমাধ্যম ইরাবদির।

সেখানকার জাতিগত বাহিনী জানিয়েছে, গত মাসে উত্তর মংডু দখল করার পর টাউনশিপের দক্ষিণে জান্তা সামরিক ক্যাম্প এবং সীমান্তরক্ষী পুলিশ ক্যাম্পগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। বুথিডাং শহর দখলের পর মে মাসের শেষের দিকে মংডু শহরে বড় আকারের আক্রমণ শুরু করে তারা। দুটি শহরই বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে উত্তর-পূর্ব রাখাইন রাজ্যে অবস্থিত। ঐ এলাকা মূলত রোহিঙ্গাদের আবাসস্থল।

শুক্রবার আরাকান আর্মি বলেছে, তারা এই সপ্তাহে আরো চারটি জান্তা ক্যাম্প দখল করেছে, যার মধ্যে মাওয়ায়াদ্দি কৌশলগত কমান্ড বেস এবং নাখাউং টো ক্যাম্প রয়েছে। যুদ্ধের সময় জান্তা বাহিনীর মাওয়ায়াদ্দির কৌশলগত কমান্ডার কর্নেল তাইজারসহ প্রায় ২০০ জন জান্তা সৈন্য নিহত হয়েছেন।

আরাকান আর্মি বুধবার রাতে হামলা চালানোর পর টাউনশিপের প্রবেশপথে সুপরিচিত জান্তা ক্যাম্প আহ লেল থান কিয়াও দখল করে। হামলার আগে প্রায় ২০০ জন জান্তা সৈন্য এবং সীমান্তরক্ষী কর্মী ক্যাম্পে ছিল। তাদের মধ্যে অনেকে অন্যান্য ঘাঁটিতে ফিরে গেছে বলে জানা গেছে।

জান্তার সামরিক বাহিনী আহ লেল থান কিয়াউ ক্যাম্প এবং মাওয়ায়াদ্দি কৌশলগত কমান্ড বেস রক্ষা করতে বিমান হামলা এবং কামান গোলা ব্যবহার করেছিল।

আরাকান আর্মি শুক্রবার আরো বলেছে, তারা অনককে যুদ্ধবন্দী নিয়েছে। এছাড়া জান্তা সৈন্যদের যারা আত্মসমর্পণের পরিবর্তে পালিয়ে গেছে তাদের সন্ধান অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মংডু থেকে অন্তত ২৮টি পরাজিত জান্তা সেনা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়েছে।

গত রোববার (৯ জুন) পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনীর ১৩০ সদস্যকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *