বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করছে পিকেএসএফ : অর্থ প্রতিমন্ত্রী

বিনোদন

মে ৩১, ২০২৪ ১১:৪৫ অপরাহ্ণ

শওকত আলী হাজারী ।।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, এমপি, বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করছে পিকেএসএফ। সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত শীর্ষ এ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানটি টেকসইভাবে ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতের উন্নয়নে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে দক্ষতা ও সক্ষমতার জন্য পিকেএসএফ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করেছে। মঙ্গলবার ২৮ মে ২০২৪ খ্রি: পিকেএসএফ ভবনে আয়োজিত ‘প্রোমোটিং এগ্রিকালচারাল কমার্শিয়ালাইজেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রাইজেস (পেইস)’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে পিকেএসএফ-এর বিপুল কর্মযজ্ঞ নিঃসন্দেহে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
ক্ষুদ্র উদ্যোগ খাতের উন্নয়নে, বিশেষ করে কৃষি-সংশ্লিষ্ট উদ্যোগের বাণিজ্যিক প্রসারে পেইস প্রকল্প বাস্তবায়ন করে পিকেএসএফ। ২০১৫-২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়িত ১২৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল সংবলিত প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ)।
প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ইফাদ বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আর্নড হ্যামেলিয়ার্স বলেন, বাংলাদেশ “প্রায় উন্নত” দেশের পর্যায়ে চলে এসেছে। বিশ্বজুড়ে ইফাদ-অর্থায়িত প্রায় ৭০০ প্রকল্পের মধ্যে পেইস গুণগত মানের দিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ প্রকল্প। বাংলাদেশের কৃষি খাতকে অধিক উৎপাদনশীল ও টেকসই করার লক্ষ্যে ইফাদ পিকেএসএফ-এর সাথে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন বলেন, পেইস প্রকল্পটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি মানুষের প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধি করেছে এবং তাদের নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং বৈষম্য-বঞ্চনা থেকে মুক্তির যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, তা পূরণে পিকেএসএফ-এর পেইস প্রকল্পটি “আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে” বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
স্বাগত বক্তব্যে পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এনডিসি বলেন, পেইস প্রকল্পের আওতায় ১৫টি কৃষিজ ও ১৫টি অকৃষিজ উপখাতে মোট ৮৮টি উপ-প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি কার্যক্রম হলো দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পরিবেশ রক্ষার মাধ্যমে এ নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন ও বাজার সম্প্রসারণ। এ প্রকল্পের সহায়তাপ্রাপ্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী বলে তিনি জানান।
পেইস প্রকল্পের সাফল্য, অর্জন ও শিখন সম্পর্কে উপস্থাপনা প্রদান করেন পিকেএসএফ-এর অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুল কাদের। অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশ নিয়ে পিকেএসএফ-এর পর্ষদ সদস্য, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী ও মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ তাদের মত ব্যক্ত করেন। এছাড়া, অনুষ্ঠানে মাঠ পর্যায় থেকে আসা প্রকল্পের অংশগ্রহণকারী উদ্যোক্তারা তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *