আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২০ মে) আইসিসির প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান এ আবেদন করে তিনি নিজেই তথ্যটি জানান। আদালতের ওয়েবসাইটেও আবেদনের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে দেখা যায়, নেতানিয়াহু ছাড়াও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের দল হামাসের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
এ তালিকায় রয়েছেন- ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট, গাজা উপত্যকার ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার, সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডের কমান্ডার-ইন-চিফ মোহাম্মদ দিয়াব ইব্রাহিম আল মাসরি ও হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনে করিম খান বলেন, উভয়পক্ষের এসব ব্যক্তি গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ভার বহন করেছেন। এটি বিশ্বাস করার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ তার কাছে আছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা করে। তারা শত শত ইসরায়েলিকে হত্যা, লুটপাট, বেসামরিকদের সম্পদ ধ্বংসের পর ২৪৫ জনকে জিম্মি করে নিয়ে আসে। এসব অপরাধ প্রমাণে সিসিটিভি ফুটেজ, বিশ্বাসযোগ্য অডিও, ভিডিও, ছবি, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা, বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে।
তিনি জানান, এরপর গাজায় চলমান যুদ্ধপরাধে দায়ী নেতানিয়াহু ও গ্যালান্ট। তারা নির্বিচারে হামলা করে মানুষ হত্যা করছে। গাজায় এমনভাবে বোমা ফেলা হচ্ছে যেন সেখানে কোনো মানুষই নেই। সেখানে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছাতেও বাধা দিচ্ছে ইসরায়েল, যা যুদ্ধপরাধ।
গাজা যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। ৭০ শতাংশ বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে নেতানিয়াহুর বাহিনী।