নাইক্ষ্যংছড়ি দোছড়ি ইউ’পি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান’কে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র ও বিভ্রান্তিকর মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ

দেশজুড়ে

সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার

গত ১১সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং তারিখে ২০২২সালের একটি ঘটনার বরাত দিয়ে তুলাতলী এলাকার বাসিন্দা রোহিঙ্গা জাফর আলম প্রকাশ বার্মাইয়া জাফরের স্ত্রী করিমা বেগম নামীয় এক মাদক কারবারি মহিলা তার পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে নামেমাত্র সংবাদ সম্মেলন করেন।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, উক্ত ঘটনাটি গুরুন্যাকাটা জামে মসজিদের নামে ১৯৭৪ সালে সরকার কর্তৃক জরিপকৃত এবং ১৯৭৪সাল হতে উক্ত জমিটি গুরুনিয়াকাটা জামে মসজিদ কর্তৃক লাগিয়ত, ভোগদখল এবং চাষাবাদ করিয়া আসিতেছে।
দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও চোরাকারবারে জড়িত থাকা এই করিমা বেগম সিন্ডিকেট বিপুল অর্থের মালিক বনে যাওয়ায় হঠাৎ চোখ পড়ে যায় তুলাতলী বাজার সংলগ্ন গুরুন্যাকাটা জামে মসজিদের নামীয় লোভনীয় জমির দিকে। উক্ত জবরদখলকারী করিমা বেগম গং কর্তৃক উক্ত জমি জবরদখলের অপচেষ্টাই লিপ্ত হলে ২০২২সালের কোনো এক জুমাবার জুমা’র নামাজ পরবর্তী গুরুন্যাকাটা এলাকাবাসী কর্তৃক তাদের নিবৃত্ত করে থাকেন, কিন্তু সেখানে দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ ইমরান এর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা ছিলোনা।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনার বিপরীতে বান্দরবান আদালতে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার মধ্যে একটি মামলা মসজিদ কমিটি এবং অপরপক্ষের সাথে মীমাংসিত হয়েছে। করিমা বেগম দায়েরকৃত অপর মামলাটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক দুই বার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন এবং সেখানে কোথাও দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ ইমরান এর সম্পৃক্ততার তথ্য মিলেনি।
বর্তমানে উক্ত জমিটিতে গুরুন্যাকাটা জামে মসজিদের কাঁচা ভবনের স্থাপনা ও সাইনবোর্ড রয়েছে বলে জানা যায়।
এছাড়াও, উক্ত জমির আশেপাশে কোথাও চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান এর জমিসীমা বা স্থাপনা না থাকা স্বত্বেও দেশের চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান এর সুনাম ক্ষুন্ন ও হয়রানি করতেই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে বহু অপকর্মের হোতা এই করিমা বেগম’কে লেলিয়ে দিয়েছে কিছু দুষ্টচক্র।
উল্লেখিত করিমা বেগম অসহায়ত্ব ও স্বামীহারা উল্লেখ করা হলেও জানা যায়, তার স্বামী রোহিঙ্গা জাফর আলমের সাথে তার নিয়মিত যোগাযোগ এবং যাতায়াত রয়েছে। তবে মায়ানমার হতে আনা ইয়াবা বিক্রয়ের অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে করিমা বেগমের আত্মীয়দের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় জাফর আলম বর্তমানে উখিয়াস্থ কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন এবং সেখান থেকেই তিনি করিমা বেগমের মাধ্যমে তুলাতলী, নাইক্ষ্যংছড়ি এবং রামু-কক্সবাজার সহ বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবা পাচার করে থাকেন বলে জানা যায়।
তার এহেন কর্মকাণ্ডের সঠিক তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান গুরুন্যাকাটা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *