দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আসছে ডোনাল্ড লু

জাতীয়

মে ১২, ২০২৪ ১:৪৬ অপরাহ্ণ

মোহাম্মদ আল এমরান

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু আবার বাংলাদেশ সফরে আসছেন । চলতি মাসের মাঝামাঝি তিনি আসবেন বলে জানা গেছে। ১৪ ও ১৫ মে তিনি ঢাকায় অবস্থান করতে পারেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে ।
মার্কিন দফতরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনকে সহযোগিতার দায়িত্বে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা ডোনাল্ড লু’র এবারকার সফর ঘিরেও রয়েছে শোরগোল, যেমনিভাবে ছিল নির্বাচনেরে আগের সফরকে ঘিরে। নির্বাচনের আগে তিনি সব দলকে সংলাপে অংশগ্রহণের চিঠি লিখে ছিলেন। এবার চিঠি নয়, এবার আলোচনায় দু’দেশের সর্ম্পকের টানাপোড়েন গুছিয়ে নতুন সম্পর্ক বিস্তার।
এর মধ্যে রাজনৈতিক মহলে নির্বাচন ও নিষেধাজ্ঞা ইস্যুতে তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা ছিল সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশে নতুন সংসদ নির্বাচন ও সরকার গঠনের পর ডোনাল্ড লুর এটাই প্রথম ঢাকা সফর। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দুই দেশের কর্মকর্তা পর্যায়ে এই সফরের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। অবশ্য সর্বশেষ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর অবস্থানের পর এখন পাল্টে যাবে চিত্র। বাংলাদেশের সঙ্গে নির্বাচন-পূর্ব ও পরবর্তী আচরণে পরিবর্তন এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পেয়েছে নতুন মাত্রা। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার আগ্রহ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকেই। ডোনাল্ড লুর এবারের ঢাকা সফরেও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের নতুন বিস্তার নিয়ে আলোচনা হবে।
সর্বশেষ গত মার্চে স্বাধীনতা দিবসে ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রশংসা করেন। তার আগে বাংলাদেশের নির্বাচনের পর প্রথম মার্কিন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সফরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখার, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আক্তার এবং যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) সহকারী প্রশাসক মাইকেল শিফার। এইলিন লুবাখার ঢাকা সফরে এসে বলেছেন, সম্পর্ক এগিয়ে নিতেই মার্কিন প্রতিনিধিদল এ সফর করছে।
তার আগে নির্বাচনের পরপরই নতুন করে ক্ষমতায় আসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন চিঠি লিখেছিলেন। বাইডেন তার চিঠিতে লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাসী অর্থনৈতিক লক্ষ্যগুলোতে সমর্থন করে। একই সঙ্গে একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *