কাউকে শিশু নির্ধারণে হাইকোর্টের গাইডলাইন মানতে হবে

কাউকে শিশু নির্ধারণে হাইকোর্টের গাইডলাইন মানতে হবে

অর্থনীতি স্লাইড

জুন ২৫, ২০২৪ ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

আইনের সংস্পর্শে আসা বা আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কাউকে শিশু নির্ধারণে ৫টি নির্দেশনা (গাইডলাইন) অনুসরণ করতে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ‘মাওলানা আবদুস সাত্তার বনাম রাষ্ট্র এবং অন্য একজন’ শীর্ষক ফৌজদারি আপিল মামলায় এমন রায় দিয়েছেন বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বে । ১৫ ফেব্রুয়ারি দেওয়া ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।

এক. ২০১৩ সালের শিশু আইনের ২১ ধারা অনুযায়ী, কেবল শিশু আদালত আইনের সংস্পর্শে আসা শিশুর বয়স নির্ধারণ করতে পারবেন এবং শিশু হিসাবে ঘোষণা করার অধিকার থাকবে।

দুই. কোনো তদন্ত কর্মকর্তার আইনের সংস্পর্শে আসা কোনো শিশু কিংবা আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কাউকে শিশু হিসাবে নির্ধারণ করার এখতিয়ার নেই। তবে আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কোনো ব্যক্তিকে শিশু হিসাবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হলে তদন্ত কর্মকর্তা বা প্রতিষ্ঠান ক্ষেত্রমতে তার বয়স নির্ধারণে শিশু আদালতে হাজির করবেন। শিশু আদালত ২০১৩ সালের শিশু আইনে বয়স নির্ধারণ করবেন।

তিন. আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কোনো শিশুর বয়স নির্ধারণে জন্মসনদ প্রাধান্য পাবে। যদি সে শিশুর জন্মসনদ ২০০৪ সালের জন্মমৃত্যু নিবন্ধন আইনের ৮ ধারার বিধান অনুযায়ী ৪৫ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করা হয়ে থাকে। অথবা ১৩ ধারার বিধান অনুযায়ী, দুই বছরের মধ্যে বিলম্ব ফি দিয়ে জন্মনিবন্ধন করে থাকে অথবা ২০০৬ সালের জন্মমৃত্যু নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী নিবন্ধন করা থাকে।

চার. আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশুর শিক্ষা সনদে উল্লিখিত জন্মতারিখ এবং জন্মমৃত্যু নিবন্ধন আইনের বিধানমতে নিবন্ধিত জন্মসনদের মধ্যে বিরোধ দেখা দিলে জন্মসনদ প্রাধান্য পাবে।

পাঁচ. শিশু আদালত কিংবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আইনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িত কোনো শিশুর বয়স নির্ধারণে ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *