আগস্ট ২৭, ২০২৩ ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ
প্রতিবেশী দেশগুলোর আক্রমণের আশঙ্কায় সেনাবাহিনীকে ‘সর্বোচ্চ সতর্কতায়’ রেখেছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজার। মূলত সামরিক অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতা দখলে নেওয়ার জের ধরে নানা ঘটনার ধারাবাহিকতায় দেশটিতে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইকোওয়াসের হামলার সম্ভাবনা বেড়েছে। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নাইজারের নতুন সামরিক শাসকরা প্রতিবেশী দেশগুলোর আক্রমণের ক্রমবর্ধমান হুমকির কথা উল্লেখ করে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। নাইজারে গত ২৬ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানের পর ইকোওয়াস সেনা শাসনের অবসান দাবি করে এবং দেশটির সামরিক জান্তাকে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়।
সময়সীমা পার হলেও ইকোওয়াস নাইজারের অভ্যুত্থানকারী নেতাদের সাথে আলোচনার চেষ্টা করছে। অবশ্য এই জোটটি বলেছে, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে তারা নাইজারে সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, নাইজারের প্রতিরক্ষা প্রধানের জারি করা একটি অভ্যন্তরীণ নথি শনিবার ব্যাপকভাবে অনলাইনে শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যেকোনো আত্রমণের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রতিক্রিয়া জানাতে দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রাখতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, (নাইজারের) জাতীয় ভূখণ্ডে আগ্রাসনের হুমকি ক্রমবর্ধমানভাবে অনুভূত হচ্ছে।
ইকোওয়াস অবশ্য এই ধরনের যেকোনও হুমকিকে উপেক্ষা করেছে এবং শুক্রবার বলেছে, সংকটের মিটমাট করার জন্য তারা কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকে গুরুত্ব দিচ্ছে, যদিও প্রয়োজনে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টিও তাদের হাতে অন্যতম বিকল্প হিসেবে থাকবে।
ইকোওয়াস কমিশনের সভাপতি ওমর আলিউ তোরে সাংবাদিকদের বলেছেন, সন্দেহ এড়ানোর জন্য, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই- ইকোওয়াস নাইজারের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেনি, বা দেশটিতে আক্রমণ করার জন্য কোন পরিকল্পনাও (ইকোওয়াসের) নেই।
তবে পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটিতে সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের জন্য তথাকথিত স্ট্যান্ডবাই ফোর্স সক্রিয় করার জন্য চলতি আগস্টের শুরুতে এই জোট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তা বিদ্রোহে-বিপর্যস্ত সাহেল অঞ্চলকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে এমন আশঙ্কাও বাড়ছে।
এদিকে, গত মাসের অভ্যুত্থানের পেছনে থাকা সামরিক নেতাদের সমর্থনে শনিবার নাইজারের রাজধানী নিয়ামেতে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে। নিয়ামে থেকে আল জাজিরার আহমেদ ইদ্রিস বলেছেন, এটি গত মাস থেকে রাজধানীতে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আয়োজকরা বলছেন, তারা এখানে ১০ লাখ লোকের প্রত্যাশা করছেন। সমাবেশে অংশ নেওয়া মানুষ সামরিক বাহিনী এবং অভ্যুত্থানের নেতাদের বক্তৃতা শুনবে।