স্মার্টফোন নষ্ট বা খোয়া গেলেও চিন্তা নেই। পাবেন ক্ষতিপূরণ। দেশের স্মার্টফোন গ্রাহকদের জন্য বড় পরিসরে চালু হচ্ছে বিমা সুবিধা। দোকানেই মিলবে ফরম। ১০ হাজার টাকার ফোনে খরচ হবে ৪০০ টাকা। যথাযথ ক্ষতিপূরণ পেলে ক্রেতাদের আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন হ্যান্ডসেট উৎপাদকরা।
রাস্তাঘাটে চলতে ফিরতে হঠাৎ চুরি কিংবা ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে পছন্দের স্মার্টফোনটি। আবার হাত থেকে পড়ে ভেঙেও যাচ্ছে। নষ্ট হওয়ায় ফোন মেরামত সময়সাপেক্ষ। সঙ্গে খরচ তো আছেই। বৃহৎ পরিসরে দেশের স্মার্টফোনপ্রেমীদের জন্য বিমা সুবিধা নিয়ে আসছে বেসরকারি একটি র্স্টাটআপ প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, সেবা দিতে দেশীয় মোবাইল উৎপাদকদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন তারা। এসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত ডিলারের শোরুম থেকে হ্যান্ডসেট কিনলে বিক্রেতা ক্রেতাকে বিমা অফার করবে। গ্রাহক আগ্রহী হলে বিমা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে গ্রাহকের নাম, হ্যান্ডসেটের মডেল, আইএমইআই ও ফোন নম্বর দিয়ে সাবমিট করলে দুই মিনিটের মধ্যে বিমা চালু হবে।
ইনসতা শিওরের এমডি রাফেল কবীর বলেন, বিকাশ থেকে শুরু করে ক্রিডিট কার্ড-ডেভিড কার্ড যে কোনোভাবেই কস্টমার পেমেন্ট করতে পারবেন। বিমা চালু হয়ে সঙ্গে সঙ্গেই তার মোবাইলে মেসেজ যাবে।
এক লাখ টাকার হ্যান্ডসেটে বিমা খরচ হবে ৫ হাজার টাকা। বিমা চালুর পর ৩০ দিন পর্যন্ত বিমা দাবি করতে পারবেন না। এরপর ফোন নষ্ট হলে ক্রেতা যে শোরুম থেকে হ্যান্ডসেটটি কিনেছেন সেখানে নিয়ে যেতে হবে। ক্রেতার মোবাইল মেরামত করে দেবে, সংশ্লিষ্ট বিমা কোম্পানি। তিন মাসের মধ্যে ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে পুরো অর্থ পাবেন। প্রাথমিকভাবে এই বিমা হবে এক বছরমেয়াদি।
রাফেল কবীর বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে এটি বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে বলে আশা করছি। শুরুতে এ সুবিধার আওতায় শুধু রাজধানী থাকছে।
দেশের হ্যান্ডসেট উৎপাদনকারী শীর্ষ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে এই সেবা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
ফেয়ার গ্রুপের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন বলেন, আগামী এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এক্ষেত্রে একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অনেকেই এ ধরনের বিমার মাধ্যমে ডিভাইস কিনতে আগ্রহী হবে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এটাকে যদি দীর্ঘমেয়াদি করা যায়, তবে এটা গ্রাহকদের জন্য লাভজনক হবে বলে মনে করি।
দেশে ইতোমধ্যে গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় বিমা সুবিধা চালু করেছে আলট্রুইস্ট টেকনোলজি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে এ সুবিধা শুধু জিপির গ্রাহকরা পাবেন।