অক্টোবর ২৫, ২০২৪ ৫:২৮ পূর্বাহ্ণ
রাশিয়ায় যুদ্ধে সহায়তায় উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের পাঠানোর বিষয়ে রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। সেই সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তর কোরিয়ার সৈন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সিউল।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়ার বিশেষ বাহিনীর প্রায় ১,৫০০ সৈন্য ইতোমধ্যেই রাশিয়ায় অবস্থান করছে এবং তাদেরকে শীঘ্রই ইউক্রেন যুদ্ধের ফ্রন্টলাইনে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে এটাই প্রথমবারের মতো বিদেশে সৈন্য পাঠানোর ঘটনা। শীঘ্রই আরও কোরিয় সৈন্য রাশিয়ায় পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ নিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ২০২৪ সালের জুন মাসে একটি সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন রাশিয়ার দূতকে জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপটি কেবল দক্ষিণ কোরিয়ার নিরাপত্তার জন্যই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্যও একটি গুরুতর হুমকি তৈরি করছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, উত্তর কোরিয়া কর্তৃক রাশিয়ায় সৈন্য ও অস্ত্র সরবরাহ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একাধিক রেজ্যুলেশন এবং জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছে, অক্টোবরের ৮ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে রুশ নৌবাহিনীর জাহাজের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার বিশেষ বাহিনীর সৈন্যদের রাশিয়ার ফার ইস্ট অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই সৈন্যরা সেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং শীঘ্রই ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইনে মোতায়েন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পিয়ংইয়ং ও মস্কোর মধ্যে দীর্ঘদিনের মৈত্রী সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার পর এই সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে।
এ নিয়ে সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিন প্রশাসনকে কটাক্ষ করে বলেছেন, রাশিয়া বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের বিশাল ক্ষতির কারণে উত্তর কোরিয়ার সহায়তার ওপর নির্ভর করছে।
গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে তিনি দাবি করে বলেন, কিয়াভের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই রাশিয়ায় ১০ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়াও দাবি করেছে যে, উত্তর কোরিয়া গত আগস্ট মাস থেকে রাশিয়ায় প্রায় ১৩,০০০ কন্টেইনার-ভর্তি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মিসাইল সরবরাহ করেছে। সূত্র: এনডিটিভি