স্বাস্থ্য ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের দাপট কমতে শুরু করেছে। ডেলটা ও ওমিক্রন ধরনের প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ও চতুর্থ ডোজ অনেক দেশে দেওয়া শুরু হয়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বিশ্বজুড়ে শনিবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসটিতে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে। এ সময় ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মারা গেছেন ১ হাজার ৬৭৬ জন। এর আগের দিন শুক্রবার (১৩ মে) মারা গেছেন ১ হাজার ৯৬১ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৬ জন। আগের দিন শুক্রবার শনাক্ত হয়েছে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৬৫৯ জন।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ কোটি ৩৬ লাখ ৫ হাজার ৪২১ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯২ জন। আর মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৭ কোটি ৪৯ লাখ ৩২ হাজার ২৯১ জন।
সংস্থাটি থেকে আরও জানা যায়, এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৪১ লাখ ৭৪ হাজার ৫২১ জন। এ ছাড়া মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৫২৭ জনের।
আক্রান্তে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ৪ কোটি ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৮৩৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ২৪ হাজার ১৯০।
আক্রান্তে তৃতীয় ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট সংক্রমিত ৩ কোটি ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৭৩৯ জন এবং মোট মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৪ হাজার ৮৩০ জনের।
তালিকার চতুর্থ অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ২ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৩ জন। অন্যদিকে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ২৫৭ জন।
তালিকার পঞ্চম অবস্থানে থাকা জার্মানিতে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮০ জনের। অন্যদিকে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৯ জন।
যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, রাশিয়া সপ্তম, দক্ষিণ কোরিয়া অষ্টম, ইতালি নবম ও তুরস্ক দশম অবস্থানে রয়েছে। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৪২তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করা হয়।