উত্তর কোরিয়ায় গত এক মাস ধরে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে এক লাখ ৮৭ হাজার ৮০০ লোককে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।-খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দীর্ঘদিন উত্তর কোরিয়া দেশটিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অস্বীকার করে আসছিল। তবে সম্প্রতি ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব বাড়ায় জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় দেশটির স্বাস্থ্য বিষয়ক দফতর বিষয়টি স্বীকার করেছে।
উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি জানায়, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন যখন জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন করেন তখনই করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির বিষয়টি ঘোষণা করা হয়।
উত্তর কোরিয়ায় করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ার কারণে কিমকে ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় মাস্ক পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে, যা দেশটির একটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রচার করেছে।
করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে ক্ষেপেছেন কিম জং উন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দোষারোপ করে বলেন, রাজধানীসহ সব জায়গায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়া জ্বর বোঝায় যে, মহামারি প্রতিরোধ পদ্ধতি দুর্বল।
কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, যদি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তর কোরিয়ায় করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা না করে তবে দেশটি বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটতে পারে।
গত এপ্রিলে দেশটিতে সাড়ে তিন লাখ মানুষ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ১৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হন। এরমধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার ২০০ পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন।