ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম কিংবা টিকটক; বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমবেশি আমাদের সবারই অ্যাকাউন্ট আছে। দিনের কিছুটা সময় আমরা এসব প্ল্যাটফর্মে কাটাতে অভ্যস্ত। পোস্ট করে থাকি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট আর বাড়তে থাকে ফলোয়ার সংখ্যা। কিন্তু আপনার ফলোয়ার সংখ্যা কোন পর্যায়ে গেলে আপনাকে সেলিব্রিটি বলা যেতে পারে? সেটার মানদণ্ড-ই বা কেমন?
সম্প্রতি ভারতের অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল (এএসসিআই) জানিয়েছে, আপনার ফলোয়ার্স যদি ৫ লাখ হয়ে থাকে আর ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বার্ষিক আয় যদি ৪০ লাখ বা তার বেশি হয়, তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে একজন সেলিব্রিটি।
টুইটার-ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শেয়ার করে লাখ লাখ টাকা আয় করেন সেলিব্রিটিরা। তবে শুধু নিছকই রোজগারের জন্যে নয় মনোরঞ্জনের জন্য নিজেদের প্রোফাইল থেকে পোস্ট করেন সেলিব্রিটিরা। এছাড়াও বিভিন্ন প্রোডাক্টের সঙ্গে নিজেদের ছবি শেয়ার করে মোটা অঙ্কের টাকা কামিয়ে থাকেন তারা।
ক্রিকেটার থেকে শুরু করে তারকাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বলিউডের প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ইনস্টাগ্রামে ফ্যান ফলোয়ার সংখ্যা ৮৮.৮ মিলিয়ন। প্রতিটি বিজ্ঞাপন পোস্টের জন্য ১.৮০ কোটি থেকে ২ কোটি রুপি নিয়ে থাকেন তিনি। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলির ইনস্টাগ্রামের ফ্যান ফলোয়ার সংখ্যা ২৫৬ মিলিয়ন। অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতিটি বিজ্ঞাপন পোস্টের জন্য ১.৮০ কোটি থেকে ২ কোটি রুপি নিয়ে থাকেন তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার যদি ১০ হাজার থেকে ১ লাখ ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি একজন মাইক্রো ইনফ্লুয়েন্সার। আর ফলোয়ার সংখ্যা যদি ১ লাখ থেকে ১০ লাখ হয় তাহলে ম্যাক্রো ইনফ্লুয়েন্সার এবং ফলোয়ার সংখ্যা ১০ লাখের বেশি থাকলে আপনি মেগা অথবা সেলিব্রিটি ইনফ্লুয়েন্সারের ক্যাটাগরিতে পড়েন। আর এএসসিআই-এর নতুন নিয়ম অনুযায়ী ৫ লাখ ফলোয়ার ও সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে বছরে ৪০ লাখ টাকা আয় করে থাকলে আপনিও নিজেকে সেলিব্রিটি বলে দাবি করতেই পারেন।