এপ্রিল ১৪, ২০২২ ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
নেককার নারী প্রথম গুণ হলো- দ্বীনদার ও সতী-সাধ্বী হওয়া। রাসুলুল্লাহ সা. একজন ঈমানদার স্ত্রীকে তার স্বামীর জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। নেককার স্ত্রী একজন মুসলিম পুরুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নিয়ামতস্বরূপ। স্ত্রীর ভালোবাসা স্বামীর জন্য আল্লাহর বিশেষ রহমত।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুনিয়া হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্ত্ত। আর দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ (উপভোগের বস্ত্ত) সাধ্বী নারী।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
হজরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, রমজান মাসের রোজা রাখবে, নিজ লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে এবং স্বামীর আনুগত্য করবে তখন তাকে বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে প্রবেশ কর।’ (মুসনাদে আহমাদ)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, নারীদের মধ্যে কোন নারী উত্তম। তিনি বললেন, স্বামী যাকে দেখলে আনন্দবোধ করে, যাকে আদেশ করলে আনুগত্য করে, স্ত্রীর বিষয়ে এবং সম্পদের ব্যাপারে স্বামী যা অপছন্দ করে তা থেকে বিরত থাকে।’ (মুসনাদে আহমাদ, নাসাঈ)
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুনিয়া হলো ক্ষণিক উপভোগের বস্ত্ত। আর দুনিয়ার সর্বোত্তম সম্পদ (উপভোগের বস্ত্ত) সাধ্বী নারী।’ (মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমরা মেয়েদের মা-বাবার নাম ধরে গালি দিওনা কেননা আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মেয়েদের বাবা।
রাসূল (সা.) আরো এরশাদ করেছেন, দুনিয়াতে যতকিছু আছে সব তোমাদের জন্য সম্পদ কিন্তু তার মধ্যে উত্তম সম্পদ হলো একজন নেক্কার স্ত্রী।
একজন আদর্শ স্ত্রী তার স্বামীকে শারীরিক, মানসিক তৃপ্তি দেয়, ব্যাভিচারের মত জগন্য কাজ থেকে বাঁচায়।
স্বামীর পোশাক ধুয়ে দেয়, রান্না করে খাওয়ায়, ঘর সাজিয়ে রাখে। বাড়ি-ঘর পরিষ্কার রাখে, বাড়িতে আসা মেহমানদের আপ্যায়ন করে, বৃদ্ধ মা, বাবার সেবা যত্ন করে, বাবা হতে সাহায্য করে।
ছেলে মেয়ের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়। স্বামীর অসুস্থতার সময় পাশে থাকেন তিনি। বিপদের সময় সান্তনা দেয় স্ত্রী। স্বামী যখন কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তিত থাকেন তখন স্বামীকে আলতো ভালোবাসা দিয়ে চিন্তা দূর করেন স্ত্রী
এতসব কিছু ই তো স্বামীর জন্য করে স্ত্রী। এর পরেও স্ত্রী কোনো বিষয় নিয়ে একটু রাগ বা অভিমান করলে একটু ভালোবেসে তার রাগ না ভাঙ্গিয়ে চুলের মুঠি ধরে গালমন্দ করে পিঠায় অনেক স্বামী। নিজ সম্পদ নিজেই মারধর করে নষ্ট করা সঠিক হবে না, বরং সোনা রুপা গয়নার মত হেফাজত করা উচিৎ।