এপ্রিল ২৫, ২০২২ ৯:২২ পূর্বাহ্ণ
ইউক্রেন সফরে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিংকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। স্থানীয় সময় রোববার (২৪ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছেন তারা। শীর্ষ এ দুই মার্কিন কর্মকর্তার কিয়েভ সফরকালে আরও শক্তিশালী ও ভারি অস্ত্র চাইবেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর ঠিক দুই মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কর্মকর্তারা কিয়েভ সফর করছেন। শনিবার (২৩ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ছাড়াও দুই মার্কিন কর্মকর্তার ইউক্রেন সফরের খবর নিশ্চিত করে ওয়াশিংটন।
সম্প্রতি কিয়েভ সফরে এসে রুশ বাহিনীর অভিযানে শহরগুলোর ক্ষয়ক্ষতি প্রত্যক্ষ করেন ইউরোপীয় কর্মকর্তারা। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিসন জনসন গত ৯ এপ্রিল কিয়েভ সফর করেন। জেলেনস্কির সঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় ঘুরে দেখেন তিনি।
রাজধানী কিয়েভের পরিস্থিতি আগের চেয়ে কিছুটা স্বাভাবিক। ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জানাতে অনেকেই দেশটিতে সফর করছেন। অ্যান্থনি ব্লিংকেন ও লয়েড অস্টিনের এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ইউক্রেন সরকার।
সফররত মার্কিন মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনে ভারি অস্ত্র সরবরাহের আশা প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। এসব অস্ত্র রাশিয়ান অধিকৃত অঞ্চল পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন জেলেনস্কি।
যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে আরও ভারী অস্ত্র সরবরাহের ইঙ্গিত দিয়েছে। রোববার যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা ইউক্রেনকে পর্যাপ্ত ভারি অস্ত্র সরবরাহ করছে কি না জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস বিবিসিকে বলেন, ’আমরা আমাদের ইউক্রেনীয় অংশীদারদের রুশ আগ্রাসনকে প্রতিহত করার জন্য যা প্রয়োজন তা সঠিকভাবে সরবরাহ করছি।’
এদিকে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের সঙ্গে তার একটি গুরুত্বপূর্ণ ফোনালাপ হয়েছে। রোববার (২৪ এপ্রিল) এক টুইটারা বার্তায় তিনি বলেন, পুতিনের সঙ্গে তুর্কি প্রেসিডেন্টের আলোচনার আগে আমি গুরুত্ব দিয়েছি মারিউপোল থেকে বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়ার ওপর। আজভস্তাল স্টিল কারখানাসহ আটকে পড়া সেনাদের অবিলম্বে বন্দি বিনিময়।
এর আগে শনিবার (২৩ এপ্র্রিল) জেলেনস্কি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আজভস্তালে ইউক্রেনীয় সেনাদের ধ্বংস করা হলে মস্কোর সঙ্গে যেকোনও আলোচনা থেকে ইউক্রেন নিজেকে প্রত্যাহার করবে।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে তুরস্কের। দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন দেশটির নেতারা। আঙ্কারার উদ্যোগে উদ্যোগ গত মাসে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার কূটনীতিকদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।