গত কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছিল আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফি। টানা তিনদিন লাল-সবুজের বুকে ছিল এ ট্রফি। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে খেলোয়াড় সংগঠক সবাই ছবি তুলেছেন এই ট্রফির সঙ্গে। তবে হুট করেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় যে বিশ্বকাপ ট্রফি বাংলাদেশে এসেছে সেটি কী আসল না নকল?
গত ১৬ আগস্ট আইসিসি ভারতের তাজমহলের সামনে বিশ্বকাপ ট্রফি রেখে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন করে। সেই ট্রফিটির নিচের অংশে এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপজয়ী দেশগুলোর নামের পাশাপাশি আইসিসির টুর্নামেন্ট লোগো রয়েছে। তাতেই প্রশ্ন জাগে। বাংলাদেশে যে ট্রফিটি পদ্মা সেতুর সামনে রেখে ফটোসেশন করা হয়েছিল, তাতে সেই বিষয়গুলো দেখা যায়নি। মূলত দুটো ট্রফির এই বৈসাদৃশ্যের কারণেই এই নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে।
আসলে যে ট্রফিটি বাংলাদেশে এসেছে, সেটিকে বলা হচ্ছে রেপ্লিকা ট্রফি। এই ট্রফিটি মূল ট্রফির আদলে বানানো। দলগুলোর ফটোশুটের পাশাপাশি বিশ্ব ভ্রমণে এই রেপ্লিকা ট্রফিই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আর আইসিসির সদর দপ্তরে রাখা হয় মূল ট্রফিটি।
২০১১, ২০১৫ ও ২০১৯ এ বিশ্বকাপজয়ী দেশগুলোর হাতে যে ট্রফি দেখা গেছে তাতে নিচের অংশে কেবল একটি মাত্র লোগো দেখা গেছে। তবে এর আগে ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপে বিজয়ী অধিনায়কদের হাতে যে ট্রফি দেখা যায় সেটিতে অনেকগুলো নাম সম্বলিত ট্রফিই দেখা গেছে।
এর আগে ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতের হাতে বিশ্বকাপের আসল ট্রফি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন ভারতীয় সমর্থকরা। এমনকি মুম্বাই এয়ারপোর্টে ট্রফি আটকে দিয়েছিল বিমানবন্দর কাস্টমস ও শুল্ক গোয়েন্দারা, এমন অভিযোগও ওঠে। যদিও পরবর্তীতে ভারতকে দেওয়া ট্রফিটিকে আসল বলে দাবি করেছিল আইসিসি। ঠিক কি কারণে ট্রফির এমন বৈসাদৃশ্য এই বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছুই জানায়নি আইসিসি।
১৯৭৫ সালে বিশ্বকাপ শুরু হলেও ১৯৯৯ বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত প্রায় প্রতি বিশ্বকাপেই ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের ট্রফি দেওয়া হয়েছে বিজয়ী দলগুলোকে। কারণ, তখন বিশ্বকাপের জন্য কোনো স্থায়ী ট্রফি তৈরি করেনি আইসিসি।
তবে ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু হয় স্থায়ী ট্রফির প্রচলন। তখন থেকেই একটি নির্দিষ্ট ডিজাইনের ট্রফি দেওয়া শুরু হয়। বর্তমান বিশ্বকাপ ট্রফিটির ওজন প্রায় ১১ কেজি এবং লম্বায় প্রায় ৬৫ সেন্টিমিটার।
সাধারণত উদ্বোধনী এবং ফাইনাল ম্যাচে রাখা হয় আসল ট্রফিটি। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন দলের উদযাপনের জন্য আসল ট্রফিটি দেয়া হয়।