দেশে পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে জরুরি ভিত্তিতে তিনটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
এগুলো হচ্ছে-ডিকার্বোনাইজেশন, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা উৎপাদন পদ্ধতিতে প্রযুক্তির স্বয়ংক্রিয়করণের প্রভাব।
শনিবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘বুনন ২০৩০ : নীতিনির্ধারণী আলোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন।
দেশের বিজনেস কনসালট্যান্সি প্রতিষ্ঠান লাইট ক্যাসল পার্টনার্স ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ যৌথভাবে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লাইট ক্যাসল পার্টনার্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক জাহেদুল আমিন। এলডিসি উত্তরণ ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে পোশাক শিল্পে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরতে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ। সূচনা বক্তব্য দেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের পরিচালক আইনি ইসলাম।
মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি সংকট আসছে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর।
এলডিসির কারণে জেনারেলাইজড প্রেফারেন্স স্কিমসহ (জিএসপি) অন্যান্য বাণিজ্য সুবিধা কমে যাওয়া, শ্রমিকদের মজুরি বেড়ে যাওয়া, আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও আমদানিকারকরা বাংলাদেশের চেয়ে তুলনামূলক কম খরচে পোশাক উৎপাদন করা দেশগুলোর দিকে ঝুঁকে পড়ার আশঙ্কা এবং পোশাক শিল্পের কিছু সংখ্যক মালিক কমপ্লায়েন্সসমূহ পুরোপুরি না মানার ফলে এ সংকট আরও বাড়বে।
এতে আরও বলা হয়, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ২০২৩ সালের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে একক দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
একই সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য সূত্রে ২০২৩ অর্থবছরে এই খাতে জিডিপির অবদান ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
এতে কর্মরত রয়েছেন ৪০ লাখের বেশি পোশাক শ্রমিক। যাদের ৬০ শতাংশই নারী। ফলে এখনই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করতে না পারলে এ শিল্পের পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।