নভেম্বর ৪, ২০২৪ ৫:১৫ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এখনো পর্যন্ত কাউকে প্রকাশ্যে সমর্থন দেননি। আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস বা রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প যিনিই নির্বাচিত হন, উভয়েই চীনের প্রতি কঠোর অবস্থান বজায় রাখবেন বলে মনে হচ্ছে।
২০১৮ সালে চীনের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক যুদ্ধ শুরু হয় এবং চীনা পণ্য আমদানিতে ২৫০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে ১১০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করে। ফলে যদি ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হন, তাহলে তার এই কঠোর অবস্থান থেকে ফিরতে খুব সম্ভবনা কম।
পক্ষান্তরে বিশ্বজুড়ে চীনের যে ক্রমবর্ধমান উত্থান তার বিরুদ্ধে অবস্থান থাকবে ডেমোক্রেটদের। যখন জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, তখন ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক বহাল রাখেন। উপরন্ত এ বছর ১৩ সেপ্টেম্বরে বাইডেন প্রশাসন চীনে তৈরি সুনির্দিষ্ট কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। যদি কমলা হ্যারিস বিজয়ী হন তাহলে চীনের প্রতি বাইডেন প্রশাসনের নীতি অব্যাহত রাখবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ফলে কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যিনিই নির্বাচিত হন, তাতে চীনের বিষয়ে স্বস্তিকর কোনো খবর মেলার সম্ভাবনা খুবই কম। বাণিজ্যিক যুদ্ধ সত্ত্বেও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন ট্রাম্প।
গত ১৪ জুলাই হত্যাচেষ্টা থেকে রক্ষা পান ট্রাম্প। এরপর তিনি বলেন, বিশ্বনেতারা তার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি এক র্যালিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি খুব চমৎকার মানুষ। আমি আক্রান্ত হয়েছি শোনার পর আমাকে সুন্দর সুন্দর কথা লিখেছেন। কিন্তু পর্দার আড়ালে চীনা কর্মকর্তারা কমলা হ্যারিসের প্রতি সামান্য ঝুঁকে পড়তে পারেন। পেইকিং ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সাবেক ডিন জিয়া কিংগুও বলেন, ইরান যেমন কঠোরভাবে কমালা হ্যারিসকে চায়, তেমনি সম্ভবত শি জিনপিংও চান কমালাকে।