আগামী ২৪ ঘণ্টা ইসরাইলের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ সময় বলে দাবি করেছে ইহুদিবাদী মিডিয়াগুলো। ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোর অনুমান, ইরান ও হিজবুল্লাহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
দখলদার সরকারের একটি মিডিয়া রোববার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল বিশ্বাস করে যে, হিজবুল্লাহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আক্রমণ শুরু করবে, তারপর ইরান এতে যোগ দেবে।
আরেকটি ইসরাইলি সংবাদপত্র ঘোষণা করেছে, হিজবুল্লাহ আগামী দিনে ইসরাইলের বিরুদ্ধে হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর।
গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আসন্ন আলোচনার প্রেক্ষিতে হিজবুল্লাহ তার পরিকল্পনা পরিবর্তন করবে না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে ইসরাইলি সংবাদপত্রটির প্রতিবেদনে।
ইহুদিবাদী মিডিয়ার মতে, দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেট ভবনে ইসরাইলি বাহীনির হামলার প্রতিক্রিয়ায় গত এপ্রিলে ইসরাইলে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান।
সম্প্রতি তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি সরকারকে শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ইরান সরকার।
ইসরাইলি সূত্রগুলো জানিয়েছে, হানিয়াকে হত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে লেবাননের বৈরুতে হিজবুল্লাহ কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকেও হত্যা করে ইসরাইল। এতেই উদ্বেগ আতংক আরও তীব্র হয়েছে।
এদিকে সিমা কাদমন নামে এক ইসরাইলি বিশ্লেষক বলেছেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার এ ভয় ইসরাইলিদের দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করছে।
ইসরাইলি ইয়েদিওথ আহরোনোথ পত্রিকার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে তিনি বলেছেন, ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ভয়ে ইসরাইলিরা তাদের ঘরেও ঘুমাতে পারছে না।
তিনি বলেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, তেলআবিবের ৪৪ শতাংশ বাসিন্দা পারস্য উপসাগরে যুদ্ধের সময় তাদের বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। যদি এখনও সমীক্ষা করা হয়, তাতে দেখা যাবে, ইরানের আক্রমণের ভয়ে ঘুমাতে পারছে না এমন ইসরাইলি জনগণের সংখ্যা ৪৪ শতাংশের বেশি হবে।
ইসরাইলি এ বিশ্লেষক এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন, যখন ইরান হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ইরান ও হিজবুল্লাহর হামলার তীব্র আশংকা করছে ইসরাইলি মিডিয়াগুলোও।
সূত্র: মেহের নিউজ ও ইরনা