মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিজ ঘরে খাটের ওপর থেকে স্ত্রী ও দুই মেয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে গৃহকর্তা এক গ্রাম্য চিকিৎসককে আটক করা হয়েছে।
শনিবার রাতে ঐ উপজেলার আঙ্গুরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত আসাদুজ্জামান রুবেল ঐ গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি একজন দন্তচিকিৎসক। বানিয়াজুরী এলাকায় তার চেম্বার রয়েছে।
নিহত লাভলী আক্তার গৃহিণী ছিলেন, তার বড় মেয়ে ছোঁয়া বানিয়াজুরী স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং ছোট মেয়ে কথা বানিয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০ বছর আগে প্রতিবেশী সাইজুদ্দিনের মেয়ে লাভলী আক্তারকে বিয়ে করেন আসাদুজ্জামান রুবেল। দুই কন্যাসন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে একটি টিনের ঘরে থাকতেন। কয়েকদিন আগে একজনকে ভুল চিকিৎসার কারণে তাকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রোববার সকালে সেই জরিমানার টাকা পরিশোধের কথা ছিল।
ঘিওর থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব জানান, স্থানীয়দের দেওয়া খবরে সকাল সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থল থেকে মা ও দুই মেয়ের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার পর আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তিনি ঋণগ্রস্ত ও হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এসব কারণেই তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী জানান, এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।