এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার
বন ডাকাতি ও পাহাড় খেকো হিসাবে যার বিরুদ্ধে খোদ বন বিভাগের ৭/৮টি মামলা আদালতে বিচারাধীন সেই জয়নাল এখনো কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগ বাঁকখালি রেঞ্জ এর ঘিলাতলি বনবিটে হেডম্যান পদে রয়েছে বহাল তবিয়তে!
অনুসন্ধানে জানা যায়, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগ নিয়ন্ত্রিত বাঁকখালি বন রেঞ্জের আওতাধীন ঘিলাতলি বনবিট মূলত রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত বিস্তীর্ণ সংরক্ষিত বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকেন। রাষ্ট্রায়ত্ত বন বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন বন কর্মকর্তা—কর্মচারী। সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণে স্থায়ী—অস্থায়ী বন জাগিরদার (ভিলেজার) থাকেন। বনজ জাগিরদারদের সমন্বয় করে সরকারি বনজ সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করার লক্ষ্যে বনবিটগুলোতে একজন করে হেডম্যান নিযুক্ত থাকেন। সারাদেশে নিয়ম এক, ঘিলাতলি বনবিটে আরেক!
ঘিলাতলি বনবিটে বনভূমির পরিমাণ মূলত ২৭ হাজার একর। ঘিলাতলি বনবিটে ১২/১৫ বছর পূর্বে হেডম্যান ছিলেন আমানউল্লাহ। আমানউল্লাহর মৃত্যুর পর হেডম্যানের শুন্য পদে আমানউল্লাহর ১ম পুত্র জয়নাল নিজেকে হেডম্যান হিসাবে জাহির করে ঘিলাতলি বনবিটের বনভূমি জবরদখল, গাছ—গাছালী বিক্রি, পাবলিকের নিকট থেকে উৎকোচের বিনিময়ে বনভূমি জবরদখলে সহায়তা, মানুষকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি সহ গুরুতর অপরাধ সমূহে সরাসরি জড়িয়ে পড়েন।
বন রক্ষণাবেক্ষণের পরিবর্তে কাঠ চোরাকারবারি, বনভূমি জবরদখলকারি ও বনদস্যুদের সমন্বয়ে প্রায় এক যুগ ধরে বিশাল বাহিনী গড়ে তোলেন স্বঘোষিত হেডম্যান জয়নাল।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, পি,ও,আর ৪ ঘিলা— ২০/২১, পি,ও,আর ৫ ঘিলা ২০/২১, পিওআর ০১ ঘিলা ২১/২২ সহ প্রায় ডজনখানেক বনের পাহাড় কর্তন, বনের কাঠ চোরাচালান, জবরদখলে সহায়তা সহ গুরুতর বন মামলার আসামী হেডম্যান জয়নালের বিরুদ্ধে ঘিলাতলি বনবিটের দায়িত্ব নিয়োজিত বন কর্মকর্তা—কর্মচারীরা বাদী হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে আদালতে দায়ের করেছেন যা এখনো আদালতে চলমান রয়েছে।
এদিকে বাঁকখালি বন রেঞ্জ অফিসার সরওয়ার জাহান জানান, হেডম্যান জয়নাল এর বিরুদ্ধে করণীয় নির্ধারণ করবেন ঘিলাতলি বনবিট কর্মকর্তা। রেঞ্জার সরওয়ার জাহানের করণীয় কিছু নেই জানিয়ে ফোন কল কেটে দেন।