জানুয়ারি ২৪, ২০২৫ ৪:৪৬ অপরাহ্ণ
আবুল কালাম আজাদ, রৌমারী প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনা মূল্যে বিতরণের প্রায় ৯ হাজার বই বিক্রির উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাচারকালে জব্দের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রৌমারী উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয়ের এক অফিস সহকারীকে (পিয়ন) আটক করেছে পুলিশ।
কুড়িগ্রাম রৌমারী উপজেলা থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. লুৎফর রহমান আটকের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি দৈনিক আমাদের দিনকে বলেন, শেরপুরে বই জব্দের ঘটনায় রৌমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী জামাল হোসেনকে (৪৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার বিকেলে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের ধাতিয়াপাড়া গ্রাম থেকে সদর থানার পুলিশ ট্রাকসহ এসব বই জব্দ করে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মাহিদুল ইসলাম (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে। আটককৃত মাহিদুলের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায়। মাহিদুল ইসলাম বইগুলো ঢাকায় পাচারের কাজ করছিলেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানতে পেরেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটি চক্র রৌমারী থেকে সরকারি বই বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করছে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে শেরপুর সদর থানার পুলিশ সদর উপজেলার ধাতিয়াপাড়া গ্রামে অভিযান চালায়। এ সময় একটি বাড়িতে রাখা ট্রাকবোঝাই প্রায় ৯ হাজার মাধ্যমিকের বইসহ ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ এবং পরে বইসহ ট্রাকটি সদর থানায় নিয়ে আসে। ট্রাকটিতে ২০২৫ সালের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের প্রায় ৯ হাজার বই ছিল বলে পুলিশ মাধ্যমে জানাযায়।
কুড়িগ্রাম রৌমারী উপজেলা থেকে বই পাচারের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে উপজেলা প্রশাসন। কুড়িগ্রাম জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শামসুল আলম তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন, প্রতিটি উপজেলায় বই বিতরণ উদ্যাপন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাই রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেখানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ৯ হাজার বইগুলো পাচারের সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, জড়িত থাকা প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, ভবিষ্যতে যেন বই পাচারের ঘটনা না ঘটে সেজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সজাগ থাকার ও ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছেন।