ভার্চুয়াল জগতে নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব-বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক
ভার্চুয়াল জগতে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
রোববার (১৮ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট ও প্রযুক্তিসেবা রাজনৈতিক ভাবনা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাইবার সিকিউরিটি ইস্যুতে একজন নাগরিক হিসেবে আমরা সবাই ইন্টারনেট ব্যবহার করি। কিন্তু বাস্তবে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে আমাদের নিরাপত্তার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। যেকোনো সময় যেকোনো ইস্যুতে কোনো মানুষকে ইচ্ছা করলে সাইবার বুলিং করে তার চরিত্র হনন করতে পারে। একজন নাগরিকের সারা জীবনের অর্জনটাকে কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ করে দিতে পারে। এমন একটা পরিস্থিতিতে আমরা আছি, যেখানে প্রতিদিন মানুষকে আতঙ্ক ও উদ্বেগের মধ্যে সময় কাটাতে হচ্ছে। যারা এসব কাজ করছেন দেশে বা বিদেশে, তাদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
অন্যান্যের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থ সমন্বয়ক দিদারুল ভূঁইয়া বলেন, এই সরকারকে আমরাই ম্যান্ডেট দিয়ে ক্ষমতায় রেখেছি। তারা অঙ্গীকার করেছিলেন নিবর্তনমূলক সব আইন বাতিল করবেন। কিন্তু ৯ মাসেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বা সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল হয়নি।
আম-জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য সাধনা মহল বলেন, সাইবার সুরক্ষা নামে নতুন করে ফ্যাসিবাদীর নতুন ধারণা দেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি অনিয়ম না কমে আগের থেকে বেড়েছে।
এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, গত আট-নয় মাস ধরে শুনছি ইন্টারনেটের দাম কমছে, উন্নয়ন হচ্ছে, বাস্তবে কিছুই নেই।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাদের আলমাস, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূঁইয়া, লেবার পার্টির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ।