পাঠ্যবইয়ে দেশের মানুষের ধর্মীয়, নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধ অক্ষুণ্ন থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন বোর্ড (এনসিটিবি) -এর চেয়ারম্যান ড. রিয়াজুল হাসান।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। এই দেশে নৈতিক মূল্যবোধের উচ্চ মর্যাদা রয়েছে। এখানে সব ধর্মের মানুষের বোধ বিশ্বাস অক্ষুণ্ণ রেখেই পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা উচিত। কেননা শিক্ষা একটা জাতির মেরুদণ্ড, জাতি গড়ার কারিগর।
বৃহস্পতিবার এনসিটিবি কার্যালয়ে তার দপ্তরে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন আইম্মা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতী শামসুদ্দোহা আশরাফী, ইসলামী অর্থনীতিবিদ ও গবেষক মুফতী আব্দুল্লাহ মাছুম। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক শাহনূর শাহীন, সাংস্কৃতিক সংগঠক রায়হান ফারুক প্রমুখ।
বৈঠকে মুফতী রেজাউল করীম আবরার বলেন, ‘আমরা চাই দেশের মানুষের ধর্মীয়্য মূল্যবোধে যেন আঘাত না আসে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান; সব ধর্মেই মানুষকে নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেয়। সম্মিলিতভাবে সেটাই এই দেশের মানুষের সামাজিক মূল্যবোধ। অপরদিকে শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই জাতীর বেড়ে ওঠার মূল সিঁড়ি। সেখানে কোনোভাবেই দেশের বৃহৎ সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ নষ্ট হতে দেওয়া যায় না। তাহলে গোটা জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে।’
মুফতী আবরার আরও বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকে ধর্মীয় মূল্যবোধ বিরোধী কোনো কিছু থাকতে পারে না। বিশেষত বিদেশি অনুগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিগত সময়ে পাঠ্যবইয়ে ইসলাম বিরোধী, দেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ বিরোধী অনেক কিছু অন্তর্ভুক্ত করেছিল। জাতির বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থেই সেগুলো পরিবর্তন করা উচিত।’
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বিগত সময়ের পাঠ্য বই নিয়ে একটি গবেষণা পর্যালোচনা এনসিটিবি চেয়ারম্যানকে হস্তান্তর করেন।
এসময় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব ফিরোজ আল ফেরদৌস, উপসচিব (প্রশাসন) সিরাজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।