সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৪ ১:২৮ অপরাহ্ণ
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং দলের সুনাম ক্ষুন্ন করার অভিযোগে মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিএনপি নেতা শামীম মোল্লাকে দল হতে বহিস্কারের পরেও ওই বহিস্কৃত নেতা পদ্মার শাখা নদীতে ড্রেজার বসিয়ে মাটি তুলে বিক্রি করছিলেন। পরে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাটি কাটার ড্রেজার সাফা মারওয়া সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। নৌ পুলিশ জনগণের হাতে আটককৃত কাটার ড্রেজারটি রাত ১২টার দিকে জব্দ করেছে।
বহিষ্কৃত ওই বিএনপি নেতা শামীম মোল্লা টঙ্গিবাড়ি থানার দীঘিরপাড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকেসহ বিএনপির আরেক নেতা কামাল বেপারীকে বহিস্কারের কথা জানান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ কামরুজ্জামান রতন। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করায় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জানাগেছে, শামীম মোল্লা সরকার পরিবর্তনের পরে উপজেলার দিঘিরপাড় ও কামারখাড়া এলাকার পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার বসিয়ে নদী হতে অবাধে বালু কেটে বিক্রি করছিলেন। এতে ওই এলাকার মানুষের বাড়িঘর হুমকির মুখে পরে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে ওই এলাকার বালু দশ্যূরা এলাকার মানুষের মনে ভীতির সঞ্চারের জন্য দিঘিরপার বাজারে অস্ত্রের মোহাড়া দেয়। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে এবং বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই বিএনপি নেতা শামীম মোল্লাকে বাহিস্কার করা হয়। কিন্তু বহিস্কারের পরেও তিনি তার ব্যাবহৃত ড্রেজার সাফা মারওয়া বসিয়ে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় এলাকার পদ্মা নদীতে মাটি কাটার চেষ্টা করলে স্থাণীয়রা তার মাটি কাটার ড্রেজারটি আটক করে দিঘিরপাড় বাজার এলাকায় নিয়ে আসলে ড্রেজারটি জব্দ করে পুলিশ।
ওই কাটার ড্রেজার আটক করার পর ড্রেজারের চালক নেয়ামত বলেন, দিঘিরপারের মোল্লারা এই ড্রেজারটি ভাড়া এনে এই এলাকার নদী হতে মাটি কাটছে। কোন মোল্লা কাটছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শামীম মোল্লাসহ অন্যান্য অনেক মোল্লারা মিলেই মাটি কাটছে।
এ ব্যাপারে ড্রেজার আটককারীর একজন স্থাণীয় বাসিন্দা জনি মোল্লা বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ নদীতে মাটি কেটে শামীম মোল্লা আমাদের বাড়িঘর জমি নষ্ট করছে। আমাদের নদীর নিচে তলিয়ে থাকা জমির মাটিগুলো কেটে বিক্রি করে দিছে। আমাদের এলাকার বাড়িঘর নদীতে ভাঙছে। আজ তার ড্রেজার এলাকার লোকজনসহ হাতেনাতে ধরছি।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শামীম মোল্লা, একাধিকবার নদীতে মাটি কাটার বিষয়টি অস্বাীকার করে কালা শামীম নামে তার এলাকার অপর এক ব্যাক্তি অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে জানান।
এ ব্যাপারে চর আবদুল্লাহপুর নৌ পুলিশ ফাড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই মজিবুর রহমান বলেন, নদীতে অবৈধভাবে মাটি কাটার সময় এলাকাবাসী একটি মাটি কাটার ড্রেজার আটক করে আমাদের জানালে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ১২টার দিকে ড্রেজারটি জব্দ করে নিয়ে এসেছি। এ সময় ড্রেজারের মালিক কর্মচারী কাউকে পাওয়া যায়নি।