স্ত্রীর যেসব অভ্যাসে মেজাজ খারাপ হয় স্বামীর

স্ত্রীর যেসব অভ্যাসে মেজাজ খারাপ হয় স্বামীর

লাইফস্টাইল

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩ ১০:৫৪ পূর্বাহ্ণ

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটু-আধটু বিষয়ে মতবিরোধ হয়। অনেক সম্পর্ক সারাজীবনই মধুর থাকে। আবার কিছু সম্পর্কে কিছু দিন যেতে না যেতেই তিক্ততা চলে আসে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু বদভ্যাস নষ্ট করে দেয় সম্পর্ক। দাম্পত্য সম্পর্ক যতই মধুর হোক না কেন, মনোমালিন্য হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিটি মানুষের কিছু ভালো দিক থাকে, আবার অন্ধকার জায়গাও থাকে। এ দুইটি জিনিস নিয়েই চলতে হয়। তবে কয়দিন পরপরই মনোমালিন্য ভালো লক্ষণ নয়।

পুরুষরা সাধারণত স্ত্রীর বেশিরভাগ বিষয়ই মেনে নেন। তবে এমন কিছু কিছু বিষয় রয়েছে, যা তারা একবারেই পছন্দ করেন না। এর প্রভাবে অনেক সময় দাম্পত্য তলানিতে চলে যায়। সেই বিষয়গুলো জেনে, তা থেকে দূরে থাকলে সম্পর্কটা অনেক মধুর হতে পারে-

>>> এমন অনেক নারী আছেন, যারা চিৎকার করে কথা বলেন। নিজের কখনোই দোষ মেনে নিতে চান না। বরং সব সমস্যার সমাধান হিসেবে চিৎকারের সাহায্য নেন। এমনকী বহু সময় তো ছোটখাট বিষয়েও তারা গলা তুলে কথা বলেন। কিন্তু স্ত্রীর এই অভ্যাস স্বামীর পছন্দ হয় না। বরং তারা চান যত দ্রুত সম্ভব স্ত্রী যেন নিজেকে বদলে নেন।

>>> কিছু মানুষের বাড়িত কথা বলার অভ্যাস আছে। তারা যে কোনো বিষয় নিয়েই অহেতুক কথা বলতে থাকেন। স্ত্রীর মধ্যে এই অভ্যাস থাকলে স্বামীর সমস্যা হয়। তারা চান স্ত্রী যেন এই ভুল শুধরে নেন। কোনো কোনো পুরুষ মুখ ফুটে বলেন, কেউ বলেন না।

>>> অনেক নারী সব সময় পরনিন্দা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু এমনটা পছন্দ নয় পুরুষদের। তাই স্বামীর মন খুশি রাখতে চাইলে পরনিন্দা করা যাবে না একবারেই। বরং নিজেদের জীবনের দিকে মনোনিবেশ করাই ভালো।

>>> অনেক নারী বাবার বাড়ি নিয়ে বড়াই করেন। কিন্তু বারবার স্বামীর সামনে এমনটা করা ঠিক না। এতে স্বামী ভাবতে শুরু করেন যে এভাবে তার পরিবারকে ছোট করা হচ্ছে। তাই স্ত্রীর কাছে বাবার বাড়ির অত্যধিক প্রশংসা শুনলেই পুরুষের মন খারাপ হয়।

>>> বিয়ের পর স্ত্রী ও স্বামীর সমান সমান ভাগ। তবে অনেক সময় দেখা যায়, স্ত্রী নিজেরটা ছাড়া কারও বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এমনকী স্বামীর স্বার্থও তার কাছে গৌন। এই ধরনের বদভ্যাস নারীদের অবশ্যই ছাড়তে হবে। তবেই স্বামীর মনের কাছে থাকা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *