সেভেরোদনেৎস্কে বিপাকে ইউক্রেনীয় সেনারা, হয় আত্মসমর্পণ নয় মৃত্যু

আন্তর্জাতিক স্লাইড

জুন ১৪, ২০২২ ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ

পূর্ব ইউক্রেনের সেভেরোদনেৎস্ক শহরের রুশ বাহিনীর সঙ্গে তীব্র লড়াই চলছে। পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা করছে দুই পক্ষ। ইতোমধ্যে শহরটির ৭০ শতাংশ এলাকাই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তারা শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সৈন্যদের।

শহরটির চারদিকেই খণ্ডযুদ্ধ চলছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে দোনেৎস্কের একজন রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদী সামরিক নেতা এদুয়ার্ড বাসুরিন বলেছেন, সেভেরোদনেৎস্কে যে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা আছে, তাদের সামনে বিকল্প হচ্ছে— ‘হয় আত্মসমর্পণ নয় মৃত্যু।’

রবিবার রুশরা সেভেরোদনেৎস্ক ও লিসিচানস্ক শহরের মধ্যে সংযোগকারী তিনটি সেতুর দুটিই উড়িয়ে দিয়েছে। এখন তৃতীয় সেতুটি ধ্বংস করার জন্য রুশ বাহিনী প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে। সেটি করতে পারলে সেভেরোদনেৎস্ক ইউক্রেনের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

তবে রুশপন্থি মিলিশিয়া নেতা বাসুরিন দাবি করেছেন যে, তৃতীয় সেতুটিও এর মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু বিবিসি তা নিশ্চিত করতে পারেনি। ইউক্রেনের সরকারও এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কিছু বলেনি।

সেভেরোদনেৎস্কের গভর্নর বলেছেন, সম্ভবত আজকের মধ্যেই রুশরা পুরো শহরটি দখল করার চেষ্টা করবে। শহরটির কেন্দ্রস্থল থেকে ইউক্রেনের সৈন্যদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে তাদের অবস্থানগুলোর ওপর ব্যাপক গোলাবর্ষণ করা হয়।

লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদাই বলেছেন, সেভেরোদনেৎস্কের ৭০ শতাংশ এলাকাই এখন রুশ নিয়ন্ত্রণে।

তিনি আরও জানান, বিশেষ করে শহরের আজোট নামের একটি রাসায়নিক শিল্পকারখানার ওপর প্রচণ্ড গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে, যেখানে প্রায় ৫০০ বেসামরিক লোক আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪০ শিশু রয়েছে। কিন্তু প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের কারণে তাদের উদ্ধারের কোনো চেষ্টা করা যাচ্ছে না।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, তার বাহিনী প্রতি মিটার মাটির জন্য লড়াই করে যাবে এবং তিনি আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দেওয়ার জন্য বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

স্বঘোষিত দোনেৎস্ক গণপ্রজাতন্ত্রের একজন সামরিক প্রতিনিধি এদুয়ার্ড বাসুরিন বলেছেন, সেভেরোদনেৎস্কে যে ইউক্রেনীয় সেনারা আছেন, তাদের অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয়তো মরতে হবে।

মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ইউক্রেনের সৈন্যরা এ শহর থেকে বের হতে পারবে না। কারণ সবশেষ সেতুটিও এর মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

যদিও তৃতীয় সেতুটি ধ্বংসের এই দাবি বিবিসি নিশ্চিত করতে পারেনি এবং ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষের দিক থেকেও এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

সূত্র: বিবিসি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *