সাকিব কেন রাজনীতিতে জড়ালেন, জানালেন আসল কারণ

সাকিব কেন রাজনীতিতে জড়ালেন, জানালেন আসল কারণ

খেলা স্পেশাল

অক্টোবর ১০, ২০২৪ ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দুই মাস পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন।  সেই সঙ্গে রাজনীতি আসার বিষয়টিও তিনি পরিষ্কার করেছেন। বুধবার রাতে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে আন্দোলনে সরব উপস্থিত না থাকতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ না হতেই রাজনীতিতে প্রবেশ করাতে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হন তিনি। অনেকে প্রশ্ন তোলেন সাকিব কেন রাজনীতিতে যোগ দিলেন? তার উদ্দেশ্য কি? এ বিষয়টি নিয়ে এতদিন চুপ থাকলেও এবার রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আসল কারণ জানিয়েছেন সাকিব নিজেই।

রাজনীতিতে জড়ানোর ব্যাখ্যায় সাকিব বলেন, আমি খুবই স্বল্প সময়ের জন্য মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়াটা ছিল মূলত আমার জন্মস্থান অর্থাৎ আমার মাগুরার মানুষের উন্নয়নের জন্য সুযোগ পাওয়া। আপনারা জানেন যে, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নির্দিষ্ট কোনো দায়িত্ব ছাড়া নিজের এলাকার উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখাটা একটু কঠিন। আর আমার এই এলাকার উন্নয়ন করতে চাওয়া আমাকে সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী করে। যাই হোক দিনশেষে আমার পরিচয় আমি একজন বাংলাদেশের ক্রিকেটার। আমি যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থেকেছি অন্তর থেকে ক্রিকেটকেই ধারণ করেছি।

তিনি আরও লিখেছেন- এই ক্রিকেটকে ধারণ করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের সম্মান অর্জন করার পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন আপনারা। আপনাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন আমাকে আজকের সাকিব আল হাসান বানিয়েছে। আমি যখন দেশের জন্য ক্রিকেটের মাঠে ব্যাট ধরেছি তখন আমার সাথে ব্যাট ধরেছেন আপনারা সবাই। গ্যালারি থেকে আপনাদের চিৎকার, আপনাদের সমর্থন আমাকে ভালো খেলার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ক্রিকেট ম্যাচের দিন চায়ের দোকানে টেলিভিশনের সামনে উপচেপড়া ভিড় আমাকে শক্তি জুগিয়েছে। আমি জিতলে আপনারা সবাই জিতেছেন। আমি হেরে গেলে হেরে গেছেন আপনারা সবাই।

দেশের মাটিতে সাদা পোশাকে শেষ ম্যাচ খেলার আকুতি জানিয়ে সাকিব বলেন, আপনারা জানেন, খুব শীঘ্রই আমি আমার শেষ ম্যাচটি খেলতে যাচ্ছি। আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আজকের সাকিব আল হাসান হয়ে ওঠা পর্যন্ত এই পুরো জার্নিটাকে ড্রাইভ করেছেন আপনারা। ক্রিকেটের এই গোটা গল্পটা আপনাদের হাতেই লেখা! তাই আমার শেষ ম্যাচে, এই গল্পের শেষ অধ্যায়ে, আমি আপনাদের পাশে চাই। আমি আপনাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বিদায় নিতে চাই। বিদায় বেলায় সেই মানুষগুলোর হাতে হাত রাখতে চাই, যাদের হাতের তালি আমার ভালো খেলতে বাধ্য করেছে। বিদায় বেলায় সেই মানুষগুলোর চোখে চোখ রাখতে চাই, আমার ভালো খেলায় যাদের চোখ আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছে। আবার আমার খারাপ খেলায় যাদের চোখ ছলছল করেছে।

আমি আশা করি, শুধু আশা না বিশ্বাস করি– এই বিদায় বেলায় আপনারা সবাই আমার সঙ্গে থাকবেন। সবাই সঙ্গে থেকে সেই গল্পের ইতি টানবেন, যে গল্পের নায়ক আমি নই, আপনারা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *