রাজকুমারী ডায়ানার এনগেজমেন্ট রিংয়ের পেছনের গল্প

ফিচার স্পেশাল

জুন ১০, ২০২২ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ

ওয়েলসের প্রিন্স চার্লসের সহধর্মিণী রাজকুমারী ডায়ানা। সোনালি ছোট চুলের ২০ বছর বয়সী মেয়েটিকে বিশ্ববাসী চিনেছিল ব্রিটেনের রাজবধূ হিসেবে।

প্রিন্সেস ডায়ানার বেশির ভাগ ছবি ঘাঁটলেই দেখা যায় তিনি বেশির ভাগ সময়ই তার টকটকে নীলকান্তমণি বাগদানের আংটি পরেছেন।

রাজকীয় বাগদানের রিংগুলোর একটি অনন্য গভীরতা রয়েছে এবং এটি কেবল বিয়ের সঙ্গেই নয়, আভিজাত্যের সঙ্গেও যুক্ত একটি মিলনের প্রতীক।

ডায়ানার আংটিটি আশ্চর্যজনকভাবে রানির জন্য উপযুক্ত একটি টুকরো। এর ১২ ক্যারেট সিলন নীলকান্তমণি পাথরটি ১৪টি ছোট হীরার মাঝখানে ১৮ ক্যারেট সাদা সোনায় সেট করা আছে এবং এই আংটিটিকে বলা হয় সৌভাগ্যের প্রতীক। ডায়ানা যখন প্রথম এটি পেয়েছিলেন, তখন এর মূল্য ছিল প্রায় ৬০,০০০ ডলার। কিন্তু এখন সেই দাম বেড়েছে। এর বর্তমান মূল্য অনুমান করা হয় ৫০০,০০০ ডলারের বেশি।

তখনকার সময়ে অভিজাত নারীরা প্রত্যেকেই ডায়ানার সুন্দর আংটির নিজস্ব সংস্করণ চাইতেন। আশির দশকে এটি ছিল তখনকার সবচেয়ে পছন্দের গয়নাগুলোর একটি। তখন অনেক নারী বিয়ের আগে এবং পরে নীলকান্তমণির মতো দেখতে আংটি পরতেন।

এই রাজকীয় আংটিটি তৈরি করেছিলেন গারার্ড, ক্রাউনের জুয়েলার্স এবং তিনি রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে প্রিন্স অ্যালবার্টের বিয়ের উপহারের ওপর ভিত্তি করে টুকরোটির নকশা তৈরি করেছিলেন। গারার্ডের একজন প্রতিনিধি ২০১৭ সালে মেরি ক্লেয়ার ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন, ‘রানি ভিক্টোরিয়া নীলকান্তমণি পছন্দ করতেন, তাই প্রিন্স অ্যালবার্ট সবসময় তার জন্য নীলকান্তমণি কিনতেন।’

একবার ডায়ানাকে এই আংটিটি পছন্দ করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তাকে তার মায়ের বাগদানের আংটির কথা মনে করিয়ে দেয় এবং এটি তার চোখের রঙের মতো। সত্যিই আংটিটি ডায়ানার মা ফ্রান্সিসের বাগদানের আংটির সঙ্গে খুব মিল ছিল।

২০১০ সালে প্রিন্সেস ডায়ানার সন্তান প্রিন্স উইলিয়ামই কেট বাগদানের সময় মিডলটনকে ডায়ানার আংটি উপহার দিয়েছিলেন। মায়ের স্মৃতি হওয়ায় আংটিটি তার কাছে খুব প্রিয়।

ডায়ানা সবসময় চেয়েছিলেন তার গয়নাগুলো তার দুই সন্তান উইলিয়াম ও হ্যারির কাছে থাকুক, যাতে তারা তা তাদের স্ত্রীদের দিতে পারে। তিনি মারা যাওয়ার আগে একটি উইলে লিখেছিলেন: ‘আমি চাই আমার সব গয়না আমার ছেলেদের কাছে থাকুক, যাতে তাদের স্ত্রীরা যথাসময়ে তা পেতে পারে বা ব্যবহার করতে পারে। আমি আমার গহনার সঠিক বিভাজন চাচ্ছি।’

সূত্র: হিস্টোরিক্যাল জিনিয়াস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *