যে কারণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা

যে কারণে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা

অর্থনীতি স্লাইড

জানুয়ারি ৯, ২০২৩ ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে মূল্যবান ধাতু স্বর্ণ। আরো এক দফা বাড়ল এ দাম। আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা সোনা) দাম বেড়েছে। যে কারণে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতিও (বাজুস) দেশে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে।

জানা গেছে, দেশের বাজারে সর্বশেষ দাম বাড়ার পর বিশ্বাবাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ৪০ ডলারের বেশি বেড়ে গেছে। স্থানীয় বাজারেও তেজাবি স্বর্ণের দাম বেড়েছে। এ কারণে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়েছে।

নতুন করে ভরিতে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা। ফলে সোনার ভরি ছাড়িয়েছে ৯০ হাজার টাকা। রোববার থেকে ভালো মানের প্রতি ভরি সোনার দাম বেড়ে হয়েছে ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা।

এর আগে, ৩০ ও ৪ ডিসেম্বর এবং ১৮ ও ১৩ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। ফলে দুই মাসের কম সময়ের মধ্যে দেশের বাজারে পাঁচ দফা সোনার দাম বাড়লো। এতে দেশের বাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে পৌঁছে গেছে দামি এই ধাতুটির দাম। এর আগে কখনো দেশের বাজারে সোনার ভরি ৯০ হাজার টাকা স্পর্শ করেনি।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর সব থেকে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা বাড়ানো হয়। এতে ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়ায় ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা। দেশের বাজারে এতোদিন এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল।

নতুন বছর ২০২৩ সালের প্রথম সপ্তাহেই সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় পৌঁছালো সোনার দাম। ভালো মানের সোনার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে সব ধরনের সোনার দাম। মান অনুযায়ী প্রতি ভরি সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৫৭৫ থেকে ২ হাজার ৩৩৩ টাকা পর্যন্ত।

সোনার পাশাপাশি দাম বাড়ানো হয়েছে রুপার। মান অনুযায়ী ভরিতে রুপার দাম বাড়ানো হয়েছে ১১৭ টাকা থেকে ১৯৯ টাকা পর্যন্ত।

শুক্রবার বৈঠক করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি। পরে মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি সোনার ও রুপার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা ৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯০ হাজার ৭৪৬ টাকা করা হয়েছে।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২১৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৬ হাজার ৬০৫ টাকা করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯২৪ টাকা বাড়িয়ে ৭৪ হাজার ২৪১ টাকা করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ৬১ হাজার ৮৭৮ টাকা করা হয়েছে।

এদিকে সোনার পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ১৯৯ বাড়িয়ে এক হাজার ১ হাজার ৭১৫ টাকা করা হয়েছে। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ১৯৮ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৬৩৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের রূপার দাম ১৭৫ টাকা বাড়িয়ে এক হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার দাম ১১৭ টাকা বাড়িয়ে ভরি ১ হাজার ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ৩০ ও ৪ ডিসেম্বর এবং ১৮ ও ১৩ নভেম্বর সোনার দাম বাড়ানো হয়। তার আগে ২৫ অক্টোবর এবং ২৭, ১৯ ও ১৫ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হয়। তার আগে ১১ সেপ্টেম্বর এবং ২২ আগস্ট সোনার দাম বাড়ানো হয়। এর আগে ১৮ আগস্ট সোনার দাম কিছুটা কমানো হয়েছিলো। তবে তার আগে ৪ ও ৭ আগস্ট এবং ২৭ ও ২৯ জুলাই সোনার দাম বাড়ানো হয়।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়। তার আগে, ৪ ডিসেম্বর এবং ১৮ ও ১৩ নভেম্বর স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস। দফায় দফায় দাম বাড়ানোর কারণে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে উঠে গেছে মূল্যবান এ ধাতু।

গত ৩০ ডিসেম্বর সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে ৮৮ হাজার ৪১৩ টাকা করা হয়। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এক ভরি স্বর্ণের দাম ৮৮ হাজার টাকা হয়নি।

২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম এক হাজার ১০৮ টাকা বাড়িয়ে ৮৪ হাজার ৩৮৯ টাকা করা হয়। এছাড়া ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৭২ হাজার ৩১৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ৮১৭ টাকা বাড়িয়ে ৬০ হাজার ৩০৩ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। বর্তমানে এ দামেই বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *