প্রাচীন এক খাবার হিং। এটার নাম আসাফোয়েটিডা। ভারতীয় উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতো। এখনও হয়। হয়তো একেক অঞ্চলে এটি একেক নামে পরিচিত। তবে ‘হিং’ নামে সুপরিচিতি পেয়েছে।
এটি অনেকটা মসলার মতো। ফেরুলা গোত্রের উদ্ভিদের মূল থেকে সংগৃহীত হয়। এক ধরনের মসলা। তবে ভারত ও নেপালের মতো বেশ কয়েকটি দেশে হিং চিকিৎসার উপকরণ হিসাবেও ব্যবহৃত হয়; এটা হার্বাল। কাজেই স্বাস্থ্যগুণ মেলে এতে।
মধুর সঙ্গে মিশিয়ে এটি খেলে অন্তত ৫টি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। খাবারের স্বাদ বাড়াতে এটি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তার বাইরেও এটি আরও নানা কাজে লাগতে পারে। আর মধু এমন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যাতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফসফেট, সোডিয়াম, ক্লোরিন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর পরিমাণে থাকে। এই দু’টি এক সঙ্গে খেলে শরীরে নানা উপকার হয়।
দেখে নেয়া যাক, সেগুলি কী কী-
ঘুম ভালো হয়: যাদের পেটের সমস্যা কারণে ঘুম গভীর হয় না, তারা নিয়মিত হিং এবং মধু খেতে পারেন। তাতে ঘুম ভালো হবে।
অম্বল থেকে মুক্তি: অ্যাসিডিটি বা অম্বল খুব সাধারণ একটি সমস্যা। বহু মানুষেরই এটি হয়। এর থেকে মুক্তি পেতে হিংয়ে সঙ্গে মধু মিশিয়ে খান। এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।
পেটে ব্যথা কমে: শিশু থেকে বয়স্ক— প্রত্যেকেরই পেটের সমস্যা হয়। বিশেষ করে পেটে ব্যথা। এমন পরিস্থিতিতে হিং এবং মধু খাওয়া খুব লাভের হতে পারে। এক চামচ হিং নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে জিভে লাগিয়ে রাখুন। এবার হালকা গরম জল পান করে সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই পেটের ব্যথা উপশম হবে।
ওজন কমাতে: হিং ও মধু একসঙ্গে খেলে ওজন কমে। হিং মেটাবলিজম বাড়ায়, অন্যদিকে মধুতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মেদ গলাতে সাহায্য করে। এজন্য এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ মধু ও সামান্য হিং মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে পারেন। দ্রুত ওজন কমবে।
পেট ফাঁপা কমায়: অনেক সময় তৈলাক্ত বা বাসি খাবার বেশি খেলে পেটে নানা ধরনের সমস্যা শুরু হয়। ফুলে যাওয়া বা পেট ফাঁপা হওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে হিং এবং মধু এক সঙ্গে খেতে পারেন। সমস্যা কমবে।