ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামে। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। এদিকে দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। আমদানি স্বাভাবিক থাকলে দাম আরো কমবে বলছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারতীয় পেঁয়াজ আসায় দাম কমল দেশের বাজারে
প্রতি বছর কোরবানি ঈদের আগেই এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। এতে অস্থির হয়ে উঠে পেঁয়াজের বাজার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পেঁয়াজের আমদানি বন্ধের অজুহাতে দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। ২০ টাকা কেজির পেঁয়াজ দাঁড়ায় ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায়। এতে অস্থির হয়ে ওঠে বাজার।
এদিকে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক রাখতে মঙ্গলবার (৫ জুলাই) শুরু হয় পেঁয়াজের আমদানি, যার প্রভাব পড়ে দেশিয় বাজারে। একদিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩২ টাকায়। আর ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।
হিলি বাজারের পেঁয়াজের আড়তদার ফারুক হোসেন জানান, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। তবে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে অনেক সময় লাগবে তার। কেননা, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজ বেশি দামে ক্রয় করেছিলেন বিক্রয়ের জন্য। তবে সে পেঁয়াজের দাম এখন কেজিতে কমেছে ১০ টাকা।
আরেক পেঁয়াজের আড়তদার মনি জানান, গত দুই মাসের বেশি সময় ধরে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ আছে, যে কারণে আড়তগুলো অনেকটাই ফাঁকা। যেহেতু আমদানি শুরু হয়েছে এখন থেকে ব্যবসা ভালো হবে।
বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম অনেকটাই কমেছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে বাজারে।
হিলি স্থল বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু জানান, এ বন্দরে বছরে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি হলেও শুধু কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৪০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। তবে সরকার এ বছর পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রেখেছিল, কৃষকরা যেন লাভবান হয়। তবে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে উঠলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে মঙ্গলবার ও বুধবার দুই দিনে ভারতীয় ২৬ ট্রাকে ৬২২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।