বিশ্বের পাঁচ ভুতুড়ে শহর

ফিচার স্পেশাল

জুলাই ২, ২০২২ ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ভূত দেখেছেন? অনেকেরই উত্তর হ্যাঁ, অনেকেই আবার বলেন ধুস, এসবের কোনো ভিত্তিই নেই। যদিও ভূতের ভয় পায় না, এমন মানুষ কিন্তু হাতেগোনা। বিজ্ঞান অবশ্য কখনই ভূতের অস্তিত্বকে স্বীকার করে না। তারপরেও কেউ কেউ সাক্ষাৎ ভূত দেখার দাবি করে থাকেন। বাস্তবে কিন্তু পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে গেলে আপনার মন ও শরীর দুইই ভার হয়ে উঠতে পারে।

ভুত শব্দটি শুনলেই আতকে উঠেন অনেকে। মনের গহীনে কেমন যেন করতে থাকে। আবার কেউ কেউ এর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাহলে ভুতুড়ে শহরের অস্তিত্ব কি আছে? এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন জাগে আমাদের মনে। চলুন তবে জেনে নেই বিশ্বের পাঁচ ভুতুড়ে শহর সম্পর্কে-

হাশিমা দ্বীপ

হাশিমা দ্বীপটি জাপানে

হাশিমা দ্বীপটি জাপানে

হাশিমা দ্বীপটি জাপানে অবস্থিত। স্থানীয়রা দ্বীপটিকে ‘গানকানজিমা’ নামে ডাকেন। নাগাসাকি বিস্ফোরণের কারণে জাপানের যে ৫০৫টি দ্বীপ বসবাসের অনুপযোগী হয়েছে হাশিমা তার একটি। দ্বীপটি ‘ভুতের দ্বীপ’ নামেও পরিচিত।

প্রিপায়াত

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে বেলারুশ সীমান্তে রয়েছে প্রিপায়াত শহর

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে বেলারুশ সীমান্তে রয়েছে প্রিপায়াত শহর

ইউক্রেনের উত্তরাঞ্চলে বেলারুশ সীমান্তে রয়েছে প্রিপায়াত শহর। চেরনোবিল পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের সময় এই দ্বীপ শহরটি গড়ে ওঠে। কিন্তু ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিল বিস্ফোরণের পর সবাইকে সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর পর থেকে শহরটি জনমানবশূন্য ভূতুরে শহর।

ভরশা

সাইপ্রাসের ফামাগাস্টা শহরের চার ভাগের এক ভাগ এলাকা ভরশা শহর নামে পরিচিত

সাইপ্রাসের ফামাগাস্টা শহরের চার ভাগের এক ভাগ এলাকা ভরশা শহর নামে পরিচিত

সাইপ্রাসের ফামাগাস্টা শহরের চার ভাগের এক ভাগ এলাকা ভরশা শহর নামে পরিচিত। ১৯৭৪ সালে এ শহরে আগ্রাসন চালায় তুরস্ক। এরপর থেকে ওই শহরে আর কোনো মানুষ বসবাস করে না। ফলে এক নিস্তব্ধ নগরীতে পরিণত হয় ভরশা। সেখানে এখন শুধুই সুনশান নিরবতা।

অ্যানি

তুরস্কের এই ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী অনেক পুরোনো

তুরস্কের এই ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী অনেক পুরোনো

তুরস্কের এই ধ্বংসপ্রাপ্ত নগরী অনেক পুরনো। মেডিয়াভেলিয়ান যুগের আর্মেনীয়রা এ শহর গড়ে তোলেন। রাজপ্রাসাদ, সেনাদুর্গসহ অনেক ঐতিহাসিক স্থাপনা রয়েছে এ শহরে। এক সময় এখানে বহু মানুষের বসবাস ছিল। কিন্তু এখন সবই শূন্য। এখন সেখানে নাকি ভূতের বাস।

কলম্যানস্কোপ

এটি দক্ষিণ নামিবিয়ার মরু অঞ্চলের পরিত্যক্ত একটি শহর

এটি দক্ষিণ নামিবিয়ার মরু অঞ্চলের পরিত্যক্ত একটি শহর

এটি দক্ষিণ নামিবিয়ার মরু অঞ্চলের পরিত্যক্ত একটি শহর। এক সময় এ শহর জার্মান হিরা ব্যবসায়ীদের আস্তানা ছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হিরার খনির অবক্ষয়ের পরে জনহীন বিপর্যস্ত হয়ে পড়তে শুরু করে। পরে পুরো এলাকা বিস্তির্ন মরুভূমিতে পরিণত হয়।

সূত্র: দ্যা ভিজিটর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *