বাখমুতের রাস্তায় রাস্তায় চলছে লড়াই

বাখমুতের রাস্তায় রাস্তায় চলছে লড়াই

আন্তর্জাতিক স্লাইড

মার্চ ৫, ২০২৩ ১০:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাখমুত শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল যুদ্ধ চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। আস্তে আস্তে হলেও শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দিকে অগ্রসর হয়েছে রুশ বাহিনী।

পশ্চিমা দেশের বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বাখমুত থেকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রত্যাহারের মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ওই শহরের পশ্চিমে নতুন পরিখা খনন করেছে এবং তাদের অভিজাত ইউনিটগুলোকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

কিন্তু বাখমুতের ডেপুটি মেয়র অলেক্সান্ডার মার্চেনকো জোর দিয়ে বলছেন, রুশ সৈন্যরা এখনও শহরটি দখল করতে পারেনি।

দু’পক্ষের প্রচণ্ড লড়াইয়ের মধ্যে রুশ বাহিনীর নিয়মিত সৈন্যরা শহরের উত্তরাঞ্চলে অগ্রসর হচ্ছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা।

বাখমুতের ডেপুটি মেয়র জানিয়েছেন, শহরের শেষ ৪,০০০ বেসামরিক নাগরিক গ্যাস, বিদ্যুৎ বা পানি বিহীন অবস্থায় আশ্রয়কেন্দ্রে লুকিয়ে রয়েছেন।  শহরটির একটি বিল্ডিংও অক্ষত নেই, এবং প্রচণ্ড গোলাবর্ষণে পুরো শহরটি ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।

রাশিয়ান বাহিনী গত কয়েক দিন ধরে বাখমুতের দিকে অগ্রসর হয়েছে। তবে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিগত কয়েক মাস ধরে তীব্র গোলাবর্ষণ এবং বিধ্বস্ত শহরটির চারপাশে দুই পক্ষের লড়াই চলছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দোনেৎস্ক অঞ্চলের উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ এ শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে রাশিয়ার জন্য যুদ্ধে বিজয় লাভ করা অনেকটা সহজ হবে। শহরটিকে নিজের দখলে আনা রাশিয়ার জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলিতে এক বিরল সাফল্য বলে বিবেচিত হবে।

কিন্তু এর পরও এই শহরটির কৌশলগত গুরুত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছু বিশেষজ্ঞ বলছেন, বাখমুতের গুরুত্বের চেয়ে রুশ বাহিনীকে অনেক চড়া মূল্য দিতে হচ্ছে।

যুদ্ধের আগে বাখমুতের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭৫ হাজার।কিন্তু এই শহরটিকে দখলের জন্য হাজার হাজার রুশ সৈন্যকে প্রাণ দিতে হয়েছে।

ইউক্রেনের সেনা অধিনায়করা অনুমান করেছেন, তাদের তুলনায় রাশিয়া সাতগুণ বেশি সৈন্য হারিয়েছে। ।

এখন প্রচণ্ড গোলাবর্ষণের মধ্যে রুশ বাহিনী এবং ওয়াগনার গ্রুপের ভাড়াটে সৈন্যরা বাখমুতের বেশিরভাগ এলাকা ঘিরে রেখেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *