সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশের ম্যাচ সামনে রেখে ইরাক-মালয়েশিয়া ছাড়াও কম্বোডিয়া, লাওস ও হংকংকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
এদিকে সিলেট ছাড়াও রাজশাহী, নীলফামারী, চট্টগ্রামসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কটি ভেন্যুতে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি। এ ছাড়া স্কুল ফুটবল, পাইওনিয়ার ও জাতীয় পর্যায় থেকে বাছাই করা প্রতিভাবান ফুটবলারদের বাফুফে এলিট একাডেমিতে সুযোগ দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন সোহাগ।
চলতি বছরের মার্চে ফিফা উইন্ডোতে মালদ্বীপ ও মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এরপর জুনে জাকার্তায় ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে আরও একটি ম্যাচ খেলেন জামাল ভুঁইয়ারা।
সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতেও ম্যাচ খেলার জন্য বেশ কটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। আগেই ইরাক-মালয়েশিয়ার সঙ্গে কথা চলছিল। এবার কম্বোডিয়া, লাওস , হংকংকে চিঠি দিয়েছে বাফুফে। সেই সঙ্গে ইরাকের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনার কথাও জানিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হংকং, কম্বোডিয়া, লাওস এ রকম তিনটি দেশের সঙ্গে এখন আমরা যোগাযোগ করছি। মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ইরাক সম্পর্কে আপডেট নেব। পজিটিভ, নেগেটিভ যে উত্তরই পাই সেটা নিয়ে কাজ শুরু করব।’
গেল মাসে বাংলাদেশ নারী দল ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বন্যা ও ভেন্যুতে নানা জটিলতার কারণে দুটি ম্যাচ সেখানে আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এবার সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডো ম্যাচ সামনে রেখে সিলেট ছাড়াও রাজশাহী, নীলফামারী, চট্টগ্রামসহ দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কটি ভেন্যুতে প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফের।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ভেন্যু প্রসঙ্গে বলেন, ‘চার সপ্তাহ সময় পেলে আমরা মাঠটাকে নিশ্চয় প্রস্তুত করতে পারব। পদ্মা সেতু যেহেতু হয়েছে এখন দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের ভেন্যু হতে পারে। তা ছাড়া সিলেট, যশোর, রাজশাহীতে ভেন্যু রয়েছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য।’
এদিকে তৃণমূল থেকে ফুটবলার তুলে আনতে স্কুল ফুটবল, পাইওনিয়ার ও জেলা ফুটবলের ওপর জোর দিয়েছে ফেডারেশন। তাই তো এ পর্যায় থেকে বাছাই করা প্রতিভাবান ফুটবলারদের বাফুফে এলিট একাডেমিতে সুযোগ দেয়া হবে।
সোহাগ বলেন, ‘আমরা এখান থেকে বেশ কিছু খেলোয়াড় বাছাই করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। চূড়ান্ত বাছাই শেষে সেরা মানের ফুটবলারদের অ্যাকাডেমিতে যুক্ত করব।’
জেলা পর্যায় ও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টগুলো নিয়ে ভবিষ্যতে আরও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে বাফুফের।