শাহিন খন্দকার, মাগুরা
১৯ মে, শুক্রবার সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ০৭ ঘটিকায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোহাম্মদ লিমন শেখ (২৬) নামে ট্রাক ড্রাইভার কে, আবুল মোল্যা, সাং ইছাখাদা খাসপাড়া, থানা জেলা মাগুরা এর বাড়ির পূর্বপাশে মেহেগুনী বাগানের ভিতর নিয়ে, পিতা মো: মন্নু শেখ (৫২) এর লিচু বিক্রির ৩,৫০,০০০ (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা ও মোঃ লিমন শেখ একজন ড্রাইভার আলহাজ্ব মো: হাসিবুল ইসলামের ডাম গাড়ি চালাই যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ঢাকা মেট্রো ট-১৫-১৭৫৩ গাড়িটি লিটন মোটরের কিস্তি থাকাই মালিক গাড়ির কিস্তি বাবদ তাহার কাছে ১০০,০০০ /= এক লক্ষ টাকা দেয় সব মিলিয়ে লিমনের কাছে ৪,৫০,০০০/= (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) ও ১৬,০০০/= ষোল হাজার টাকা মূল্যের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট নিয়ে যায়।
লিমন কে, রাস্তার উপর থেকে ধরে নিয়ে মেহেগুনী বাগানে গেলে লিমন দুইজন সন্ত্রাসীকে চিনে ফেলে ১|মো: মাসুদ জোয়াদ্দার (৩৫) পিতা মো: হাবিব জোয়াদ্দার ২| মো: শহিদুল ইসলাম (মধু) (৩৮) পিতা- মৃত সমছের জোয়াদ্দার উভয় সাং-ইছাখাদা থানা-জেলা- মাগুরা অজ্ঞাত আর ও ৪/৫ জন ছিলো। সবাই মিলে যখন ভিকটিমের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করে নেয়ার চেষ্টা করে তখন লিমন টাকা দিতে রাজি না হয় মাসুদ জোয়াদ্দার বলে শালা টাকা না দিলে তোকে জীবিত রাখবো না বলিয়া তাহার মাজাই থাকা ধারালো ছ্যানদা বাহির করিয়া লিমনের হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করিয়া কোপ মারিলে উক্ত কোপ মাথার ডানপাশে পিছনের দিকে লাগিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। সেখানে ৪টা সেলাই। পুনরায় তাহার হাতে থাকা ধারালো ছ্যানদা দিয়ে কোপ মারি লে উক্ত কোপ মাথার বাম পাশে পিছনের দিকে কান সোজা লাগিলে সেখানেও ৩টা সেলাই লাগে ছিনতাইকারী শহিদুল ইসলাম মধু তাহারা হাতে থাকা ধারালো ছ্যানদা দিয়ে মাথার মাঝ বরাবর আঘাত করে সেখানে ৬টা সেলাই এবং আরো অজ্ঞাত ছিনতাইকারী তাদের হাতে থাকা লোহার রড, বাঁশের লাঠি, ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি জখম করে, পরবর্তীতে লিমনের কাছে থাকা টাকাও মোবাইল ফোন নিয়ে নেই ভিকটিমের কান্নাকাটি চেঁচামেচি শুনিয়া পাশে থাকা মো: সুমন শেখ, মো: শিমুল শেখ, মো: ওসমান শেখ, ও মো: চাঁন মিয়া এগিয়ে আসলে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত ব্যাটারিচালিত ভ্যানযোগে চিকিৎসার জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে আনিয়া ভর্তি করেন। ভিকটিম লিমন এখন মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এ বিষয়ে মাগুরা সদর থানা অফিসার্স ইনচার্জ সেকেন্দার আলী কে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান আমাদের কাছে কোন অভিযোগ এখনো আসে নাই অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।