পহেলা বৈশাখ ও ঈদ ঘিরে পোশাকের বাজারে ভিড়

পহেলা বৈশাখ ও ঈদ ঘিরে পোশাকের বাজারে ভিড়

অর্থনীতি স্লাইড

এপ্রিল ১, ২০২৩ ১০:০০ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র ঈদুল ফিতর ঘিরে জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। এ দুই উৎসব ঘিরে ফুটপাত, দোকান, শপিংমল, ফ্যাশন হাউসে বেড়েছে কেনাকাটা। স্বাভাবিকভাবেই সেগুলোতে ক্রেতা সমাগম বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর ফ্যাশন হাউসে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। সবাই প্রিয়জনদের জন্য পোশাক দেখছেন। তবে দাম বৃদ্ধির কারণে কেউ কিনছেন, আবার কেউ খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।

বিক্রেতারা বলছেন, এবার পোশাকের দর একটু চড়া। ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় যা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি। ফলে সাধ্যের মধ্যে সাধ মেটাচ্ছেন ক্রেতারা।

তারা বলছেন, এদিন ছুটি ছিল। ফলে ক্রেতাদের ভিড় বেশি ছিল। তবে সবাই কেনেনি। অনেকে ঘুরে ফিরে দেখেছেন। দর-দাম জেনেছেন। মূল বেচাকেনা শুরু হবে ৫ এপ্রিলের পর।

ডলার সংকটে দেশি পোশাকে বাড়তি খরচ যোগ হয়েছে। ফলে গত বছরের চেয়ে এবার মূল্য একটু বেশি।

ছেলেদের পোশাকের পছন্দের তালিকায় রয়েছে পাঞ্জাবি ও পায়জামা। আর মেয়েদের পছন্দ ওয়ান পিস ও থ্রি পিস। বাচ্চাদের জন্য শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, ফতুয়া, ফ্রক নিচ্ছেন অভিবাবকরা।

মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর সংলগ্ন বেস্ট ওয়ান শো রুমের স্বত্বাধিকারী আশিকুর রহমান বলেন, এ বছর কলার, কাফে কারুকাজ ও প্রিন্টের পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি। ১৬০০ থেকে ৩৭০০ টাকার মধ্যে পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে।

দাম বেশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখন সুতার দর অধিক, মজুরিও বেশি। এছাড়া আমদানি করে আনা উপকরণের মূল্য বেশি। ফলে পোশাকের দাম বেড়েছে।

এবার বাংলা নববর্ষ ও ঈদ কাছাকাছি হওয়ায় বাড়তি বিক্রির আশা করছেন বিক্রেতারা। তারা বলছেন, এরইমধ্যে যারা বেতন ও উৎসব ভাতা পেয়েছেন, তারা আগেভাগে মার্কেট করছেন।

কাজী ফ্যাশনের জিএম হেদায়েত হোসেন ইমন বলেন, এ মুহূর্তে সবার নজর পহেলা বৈশাখ ও ঈদের পোশাকে। বাজারে শার্ট, প্যান্ট, শাড়ি-সবই বিক্রি হচ্ছে।  তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, আগের পোশাক রেখে বর্তমানে সেগুলোর দাম বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুল ইসলাম টিউশনি করে খরচ জোগান। তিনি বলেন, সব উৎসবে পোশাকের দাম বাড়ে। তবে এ ঈদে বেশি বেড়েছে।

ফ্যাশন হাউস থেকে কন্যাশিশুর জামা কিনে বের হওয়ার সময় মিরপুরের গৃহিণী নাজনিন আকতার বলেন, দাম বেশি। তবে কিছু করার নেই। ঈদ ও পহেলা বৈশাখে সবাই নতুন পোশাক চায়। সর্বোপরি উৎসব তো বাচ্চাদেরই।

মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, মিরপুর ২ নম্বর ফুটপাতে ক্রেতাদের ভিড় নজরে পড়েছে। এগুলোতে দোকান ভাড়া ও কর্মচারী বেতন লাগে না। ফলে কম দামে পোশাক বিক্রি করতে পারেন সেগুলোর বিক্রেতারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *