দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ

খেলা স্লাইড

মে ২৩, ২০২২ ৮:০৮ পূর্বাহ্ণ

হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে চায় বাংলাদেশ। অন্যদিকে ড্রয়ের বৃত্ত থেকে বের হয়ে জয় চায় শ্রীলঙ্কা। এদিকে চট্টগ্রাম টেস্টের একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ইনজুরি কাটিয়ে পেসার শরিফুল ইসলামের বদলে দলে ফিরছেন এবাদত হোসেন। প্রায় ২০ মাস পর সাদা পোশাকে ফিরছেন স্পিন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। তিনি একাদশে ফিরছেন নাঈম হাসানের পরিবর্তে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার (২৩) সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সকাল ১০টায় লঙ্কানদের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর আগে চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টের ফলাফল ছিল ড্র। সুতরাং ঢাকা টেস্ট যারা জিতবে, সিরিজ থাকবে তাদের পক্ষেই।

এর আগে চট্টগ্রাম টেস্টে ইনজুরিতে পড়ে সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও স্পিনার নাঈম হাসান। শরিফুলের বদলে একাদশে ফিরেছেন এবাদত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শেষে, ডিপিএলে চোট পেয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলতে পারেননি এবাদত। অন্যদিকে নাঈম হাসানের বদলে ২০ মাস পর দলে জায়গা করে নিয়েছেন মোসাদ্দেক। তিনি ২০১৯ সালে সবশেষ চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাদা পোশাকে মাঠে নেমেছিলেন। এদিকে ৫ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করার পথে টাইগার ওপেনার তামিম ইকবালের প্রয়োজন মাত্র ১৯ রান।

এদিকে টাইগারদের হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম যেন রহস্যময় এক চরিত্র। কখনো স্পিনার আবার কখনো পেসারদের হয়ে কথা বলে। তবে সম্প্রতি হোম অব ক্রিকেট হয়ে আছে স্পিন স্বর্গ।

উইকেট যেমনই হোক সতর্ক হয়েই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। কারণ দুই দলই বোলিং আক্রমণের দিক থেকে সমানে সমান। সবশেষ ফলাফলে চোখ রাখলে আরও ভয় ধরাবে স্বাগতিকদের। সবশেষ খেলা দুই ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়েছে হতাশা। গেলো বছর ডিসেম্বরে খেলা পাকিস্তানের বিপক্ষের ম্যাচে তো ইনিংস আর ৮ রানের হার।
একই বছরের শুরুতে আরও একটি টেস্ট হারে বাংলাদেশ। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ১৭ রানের হার ছিল তাদের। মিরপুরের উইকেটে সাদা পোশাকে সবশেষ জয়টা টাইগাররা পেয়েছিল ২০২০ সালে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস এবং ১০৬ রানে জয় পেয়েছিল টাইগাররা। যে ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।

এই উইকেটে ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলা টেস্টেও জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ ১০ টেস্টে বাংলাদেশ মিরপুরে জয় পেয়েছে ৫টি। আর হার সঙ্গী হয়েছে ৩ ম্যাচে। একটি ড্র আর একটি বাতিল। গেলো দুই টেস্টে হারের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে নিশ্চয়ই উইকেটের সর্বোচ্চ সুবিধাই নিতে চাইবে।

২০১৫ সালের পর এই ভেন্যুতে কোনো টেস্ট ড্র হয়নি। এদিকে অতীত ইতিহাস ঘেঁটে জয়ের ছক কষছেন লঙ্কান কোচ ক্রিস সিলভারউড।

বাংলাদেশ একাদশ:
মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, ইয়াসির আলী চৌধুরী, মোসাদ্দেক হোসেন, তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।

শ্রীলঙ্কা একাদশ:
দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, দীনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকওয়েলা, ওশাদা ফার্নান্দো, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, রমেশ মেন্ডিস, প্রবীণ জয়াভিক্রমা, অসিতা ফার্নান্দো এবং কাসুন রাজিথা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *